ভার্চুয়াল সংলাপে বক্তারা

পিপিপিতে বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতের ব্যাপক উন্নয়ন করতে পারে চীন

নিজস্ব প্রতিবেদক

চীন বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতের উন্নয়নে বড় কাজ করতে পারে। এক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে বাংলাদেশে কাজ করতে আগ্রহী চীন। গতকাল এক ভার্চুয়াল সংলাপে আলোচনায় এসব কথা উঠে আসে। 

গতকাল বাংলাদেশ-চায়না ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন: এক্সপেরিয়েন্স অ্যান্ড আউটলুক শীর্ষক সংলাপের আয়োজন করে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ভার্চুয়াল সংলাপটিতে সভাপতিত্ব করেন সিপিডি চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান। স্বাগত বক্তব্য দেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক . ফাহমিদা খাতুন। প্রধান অতিথি হিসেবে সংলাপে যুক্ত ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন ঢাকায় চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামানও যুক্ত ছিলেন সংলাপে।

সংলাপে আলোচনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের (বিইআই) প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের (বিআইপিএসএস) প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল মুনিরুজ্জামান এনডিসি পিএসসি (অব.), ইনস্টিটিউট ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ ইউনানের সামাজিক বিজ্ঞান একাডেমি কুনমিং চীনের অধ্যাপক চেং মিন এবং চীনের বেইজিংয়ের দক্ষিণ এশিয়ান স্টাডিজ ইনস্টিটিউট অব কনটেম্পোরারি ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনসের ডেপুটি ডিরেক্টর . ওয়াং শিদা।

সংলাপে টিকা কূটনীতি, রোহিঙ্গা সংকট, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) এবং ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজির (আইপিএস) মতো বৈশ্বিক উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা হয়। সংলাপের উদ্দেশ্য ছিল চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক পর্যালোচনা করা এবং বিনিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে ভবিষ্যতের দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্বের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা করা।

সংলাপের প্রধান অতিথি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, আমরা চীনা বিনিয়োগকারীদের চাহিদা জানতে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে খুব নিবিড়ভাবে কাজ করছি। চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় ৮০০ একর জমিতে চীনা ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠা হওয়ায় দেশটির বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ বাড়ছে।

দুদেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সফর অনুষ্ঠিত হয়েছে। কভিড-১৯ অবস্থার উন্নতি হলে -জাতীয় আরো উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হবে।

সংলাপে সিপিডির চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান বলেন, চীন যদি বাংলাদেশকে উন্নয়নের কৌশলগত বন্ধু হিসেবে নিয়ে থাকে, তাহলে চীনের বিআরআইয়ে (বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ) যুক্ত করার জন্য কাজ করতে হবে। চীন বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতের উন্নয়নে বড় কাজ করতে পারে। সম্প্রতি চীন বাংলাদেশের প্রায় আট হাজার পণ্য রফতানিতে যে শূন্য শুল্কের সুবিধা দিয়েছে, তাতে বাংলাদেশের মূল রফতানি পণ্য থাকতে হবে, নাহলে এর সুফল বাংলাদেশ নিতে পারবে না।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন