রফতানিকারকদের সুবিধা দিতে আবারো কমানো হলো রফতানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) সুদহার। এখন থেকে রফতানিকারকরা এ তহবিল থেকে ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ সুদে ঋণ পাবেন। গ্রাহকদের কাছ থেকে নেয়া সুদের দশমিক ৭৫ শতাংশ বাংলাদেশ ব্যাংককে দিতে হবে। বাকি ১ শতাংশ পাবে ঋণ বিতরণকারী ব্যাংক। ২০২১ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বিতরণ করা ঋণের ক্ষেত্রে গ্রাহকরা এ সুবিধা পাবেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বুধবার জারীকৃত এক প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
নভেল করোনাভাইরাস সৃষ্ট আর্থিক দুর্যোগ থেকে রফতানি খাতকে সুরক্ষা দিতে চলতি বছরের এপ্রিলে ইডিএফের পরিমাণ বাড়িয়ে ৫০০ কোটি ডলারে (৫ বিলিয়ন) উন্নীত করা হয়। একই সঙ্গে এ তহবিল থেকে নেয়া ঋণের সুদের হার কমিয়ে আনা হয় ২ শতাংশে। গ্রাহকদের কাছ থেকে নেয়া সুদের ১ শতাংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং ১ শতাংশ ঋণ বিতরণকারী ব্যাংক পেত।
আগে ইডিএফ থেকে কোনো রফতানিকারক ঋণ নিলে লাইবরের (লন্ডন ইন্টারব্যাংক অপার রেট) সঙ্গে ১ দশমিক ৫ শতাংশ যোগ করে সুদের হার নির্ধারণ করা হতো। সেক্ষেত্রে লাইবর রেট প্রতিদিনই ওঠানামা করায় সুদের হার ৩ থেকে ৪ শতাংশের মতো পড়ে যেত।
স্বাধীনতার পর বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় মাত্র ১৫ মিলিয়ন ডলার নিয়ে ইডিএফ গঠন করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশের রফতানি আয় বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এ তহবিল বাড়তে বাড়তে ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছিল। দেশে করোনার আঘাত আসার পর গত ২৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রী ইডিএফ ফান্ডের আকার ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার বাড়িয়ে ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার ঘোষণা দেন। ব্যাক টু ব্যাক এলসির আওতায় কাঁচামাল আমদানি সুবিধা বাড়াতে তৈরি পোশাক রফতানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ, নিট পোশাক রফতানিকারকদের সংগঠন বিকেএমইএসহ অন্যান্য রফতানিকারক সংগঠনের সদস্যরা ইডিএফ থেকে ঋণ পেয়ে থাকেন। মহামারী শুরুর পর এখন পর্যন্ত ইডিএফ ফান্ডের আকার বাড়ানো, সুদহার কমানোর পাশাপাশি গ্রাহকদের ঋণসীমা ও রফতানি আয় প্রত্যাবাসনের সময়সীমাও বাড়ানো হয়েছে।
