বাংলাদেশে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত একদিনে আরো ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৩৩৫ জন রোগী। গতকাল বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা পরিস্থিতিবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে দেশের ১১১টি পরীক্ষাগারের তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৩৮৬টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আগের কিছু নমুনাসহ মোট ১২ হাজার ৬১৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ১ হাজার ৩৩৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২২ লাখ ৮৩ হাজার ৯৬৪টি। এসব নমুনা থেকে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ১ হাজার ৫৮৬ জন।
এদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মোট মারা গেছেন ৫ হাজার ৮৩৮ জন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। তাদের মধ্যে ১৪ জন পুরুষ এবং ছয়জন নারী, যাদের ১৭ জন ঢাকা, দুজন চট্টগ্রাম ও একজন খুলনা বিভাগের বাসিন্দা।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছে ১ হাজার ৫২৩ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছে ৩ লাখ ১৮ হাজার ১২৩ জন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার বেড়ে ১০ দশমিক ৫৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মোট শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৫৮ শতাংশ। সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৭৯ দশমিক ২২ শতাংশ।
উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ঘটে। বর্তমানে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এ ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। এ পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময় গতকাল মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত) বিশ্বের করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৪ কোটি ৩৭ লাখ ৭৫ হাজার ৩০ জন। মোট মারা গেছেন ১১ লাখ ৬৬ হাজার ১২৩ জন। বর্তমানে শীতপ্রধান দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নতুন গতিতে বাড়তে শুরু করেছে। গত ১১ মার্চ নভেল করোনাভাইরাসকে (কভিড-১৯) বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বাংলাদেশে ভাইরাসটির প্রথম সংক্রমণ ঘটে ৮ মার্চ এবং ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যু ঘটে।