মির্জাপুর টু নিয়ে আবার ফিরেছে আলী ফজলের গুড্ডু ভাইয়া চরিত্রটি। প্রথম সিজনে ভাই ও স্ত্রীকে হারাতে হয় তাকে। ভাইয়ের চরিত্রে ছিলেন বিক্রান্ত মেসি ও শ্রিয়া পিলগানোকর। তাদের ছাড়া দ্বিতীয় সিজনের শুটিংয়ে কিছুটা অদ্ভুত অনুভূতি হয়েছে আলী ফজলের। অন্যদিকে কাজ করেছেন হলিউডের ছবি ডেথ অন দ্য নাইলে। এসবের মধ্যে মহামারীতে রিচা চাড্ডার সঙ্গে বিয়েটাও পিছিয়ে গেছে তার। সম্প্রতি এসব নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম ডিএনএর সঙ্গে কথা বলেছেন আলী ফজল।
মির্জাপুর নিয়ে আবার ফিরলেন, কেমন লেগেছে?
আমি দর্শকের সাড়া পেয়ে খুবই খুশি। সত্যি বলতে মানুষ অনেক দিন ধরে মির্জাপুর টু মুক্তির অপেক্ষায় ছিল।
আপনি ফুকরে ও মির্জাপুরের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজিতে কাজ করেছেন। শারীরিক ও মনস্তাত্ত্বিকভাবে একটি চরিত্র থেকে অন্য আরেকটি চরিত্রে প্রবেশের ব্যাপারটা আপনার জন্য কতটা কঠিন হয়? বিশেষ করে এবার যখন আপনি ডেথ অন দ্য নাইলেরও শুটিং করছিলেন।
ফুকরে তো মজার ছবি। এটাতে প্রবেশ করতে আমার তেমন বেগ পেতে হয়নি। কিন্তু মির্জাপুরের বিষয়টা ভিন্ন ছিল। বিশেষত দ্বিতীয় সিজনটা আমার জন্য একটু কঠিন ছিল। বিভিন্ন দৃশ্যে আমি মানসিকভাবে চাপে ছিলাম। কারণ আগের সিজনের বাবলু ও সুইটি এবার আমার সঙ্গে ছিল না। তাদের ছাড়াই আমাকে এবার কাজ করতে হয়েছে। কিছুটা অদ্ভুত সময় গেছে। ডেথ অন দ্য নাইলের জন্য যতটা ওজন বাড়ানোর প্রয়োজন ছিল সেটাও সম্ভব হয়নি। বাকিটা দর্শকের ওপরই ছেড়ে দিচ্ছি।
মির্জাপুরের গুড্ডু ভাইয়া থেকে ডেথ অন দ্য নাইলের চরিত্রে কীভাবে পাল্টে গেলেন?
প্রচুর পরিমাণে ইংলিশ খাবার খেয়েছি আর ইংলিশম্যানদের মতো আচরণ করেছি। এভাবেই মির্জাপুর টু-এর চরিত্র থেকে বেরোতে পেরেছি।
রিচা আপনার সঙ্গে গিয়েছিল এবং ডেথ অন দ্য নাইলের সেটেও আপনার সঙ্গে ছিল। তাহলে আমরা কি কখনো আপনাদের হলিউডের কোনো ছবিতে একসঙ্গে কাজ করতে দেখব?
আগে বলিউডে করি তো!
আপনাদের বিয়ে তো পিছিয়ে গেল?
হ্যাঁ। আমরা পরিস্থিতির কারণে আমাদের বিয়েটা পিছিয়ে দিয়েছি। আমাদের অনেক আত্মীয় বিদেশে থাকেন। এ মহামারীর সময় তাদের বিদেশ থেকে ডেকে আনা ঠিক হবে না। তাই আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার অপেক্ষায় আছি।
আপনি কি কখনো নিজেকে প্রযোজক বা পরিচালক হিসেবে দেখতে চান?
আমি কিছু শর্ট ফিল্ম প্রযোজনা করেছি। আর পরিচালনার কথা বললে আমি একটা ছবিও পরিচালনা করেছি। তবে এখনো সেটা নিয়ে কাজ করছি। যদি কাজ ভালো হয় তাহলে সেটা সামনে আনব। কিন্তু এখন আমি অভিনয়েই মনোযোগ দিতে চাই।
আপনার ভবিষ্যৎ প্রকল্পগুলো সম্পর্কে বলুন। সামনে কি আপনাকে আরো অনেক হলিউডের ছবিতে দেখা যাবে? লকডাউনের মধ্যে কি আরো অফার পেয়েছেন?
জন্মদিনে আগে একটা ছবি শেষ করেছি। এটা কয়েক দিন আগের কথা। আগামী বছর আরেকটা হলিউডের ছবিতে কাজের আশা করছি। তবে সেটা আগামী বছরের শেষ দিকে হবে।
সূত্র: ডিএনএ
