নভেল করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে গত একদিনে আরো ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৫ হাজার ৮৩৮-তে। একই সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরো ১ হাজার ৩৩৫ জন; এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪ লাখ ১ হাজার ৫৮৬-তে।
আজ মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে দেশের ১১১টি পরীক্ষাগারের তথ্য তুলে ধরে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১২ হাজার ৩৮৬টি নমুনা সংগৃহীত হয়েছে। এসময়ে আগের কিছু নমুনাসহ পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৬১৭টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হল ২২ লাখ ৮৩ হাজার ৯৪৬টি নমুনা।
একদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরো ১ হাজার ৫২৩ জন রোগী। এ নিয়ে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৩ লাখ ১৮ হাজার ১২৩ জন হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৯৫, যা এখন পর্যন্ত ১৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ, আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২০ জনের মধ্যে পুরুষ ১৪ জন এবং নারী ছয়জন। এ পর্যন্ত মৃত ৫ হাজার ৮৩৮ জনের মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ৪৯৪ জন; যা শতাংশের হিসাবে ৭৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং নারী রয়েছেন ১ হাজার ৩৪৪ জন; যা শতাংশের হিসাবে ২৩ দশমিক ০২ শতাংশ।
মৃতদের বয়স বিভাজনে বলা হয়েছে, গেল ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী আছে একজন, এছাড়াও ২১ থেকে ৩০ বছরের একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের দুজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের তিনজন এবং ষাটোর্ধ্ব বয়সের মারা গেছেন ১২ জন।
গেল ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন যথারীতি ঢাকাতেই, ১৭ জন। এছাড়াও চট্টগ্রামে দুজন এবং খুলনায় একজন মারা গেছেন। এদের সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম আক্রান্ত শনাক্তের পর দ্রুত সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে নভেল করোনাভাইরাস। মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয় বিশ্বের অধিকাংশ এলাকা। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। প্রথম মৃত্যুর খবর জানানো হয় ১৮ মার্চ।