দেড় যুগে বায়ার ক্রপসায়েন্স

হাইব্রিড ধানবীজে দখল ১৮ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

জার্মানভিত্তিক বায়ার ক্রপসায়েন্স বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করে ২০০২ সালে। যৌথ অংশীদারিত্বে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিটি দেশের বাজারে বালাইনাশক এবং ধান, ভুট্টা সবজির হাইব্রিড বীজ সরবরাহ করে থাকে। দেড় যুগের ব্যবধানে দেশের হাইব্রিড ধান বীজের বাজারে বায়ারের দখলে চলে এসেছে প্রায় ১৮ শতাংশ। এছাড়া দেশে প্রথম কোম্পানি হিসেবে ঘাতসহিষ্ণু জাত উদ্ভাবন সম্প্রসারণ এবং আমনে হাইব্রিড ধানবীজ প্রচলন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

বায়ার ক্রপসায়েন্স বাংলাদেশে ২০০২ সালে যাত্রা করে। ধারাবাহিকতায় ২৪ অক্টোবর ১৮ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান উদযাপন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। বায়ার ক্রপসায়েন্স বাংলাদেশে সম্প্রতি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাদের ১৮তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানটি নানা কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে উদযাপন করেছে। বায়ারই একমাত্র কোম্পানি, যারা আমন মৌসুম ধানের পাতাপোড়া রোগ প্রতিরোধী জাত উদ্ভাবন বন্যা সহনশীল হাইব্রিড ধানবীজ বাজারজাত করছে, যা আমন মৌসুমে কাঙ্ক্ষিত উচ্চ ফলন দিতে সক্ষম। আগামীতে লবণাক্ত সহনশীল জাত বাজারজাতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তারা। কোম্পানিটি ধানের পাশাপাশি ভুট্টা সবজির হাইব্রিড বীজ নিয়েও কাজ করছে বলে জানা গেছে।

নিয়ে বায়ার ক্রপসায়েন্স লিমিটেড বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহিদুল ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, বাংলাদেশে পীড়নসহিষ্ণু জাত আমনের প্রথম হাইব্রিড ধানবীজ উদ্ভাবন বিপণন করছে বায়ার। দুই দশক ধরে বায়ার এদেশের কৃষক অন্য অংশীদারদের সঙ্গে কৃষিজ উৎপাদন বৃদ্ধি প্রান্তিক কৃষকদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বায়ার শুধু এদেশের অন্যতম বালাইনাশক সরবরাহকারী নয়, ধানের হাইব্রিড বীজ সরবরাহের ক্ষেত্রেও অগ্রদূত। বাংলাদেশের ধানের মোট হাইব্রিড মার্কেটের নেতৃত্ব দিচ্ছে বায়ার।

জানা গেছে, বছরের জুনে বাংলাদেশের ৫১ জেলায় ২০০টি উপজেলার এক লাখ ক্ষুদ্র প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনা মূল্যে বেটার লাইফ ফার্মিং কিটস বিতরণ করেছে বায়ার। স্থানীয় কৃষকদের চাহিদা অনুযায়ী ওই কিটসের আওতায় উচ্চফলনশীল হাইব্রিড বীজ, বালাইনাশক, ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণ (পিপিই), মাস্ক এবং করোনায় নিরাপত্তামূলক প্রশিক্ষণ উপকরণ রয়েছে। করোনাভাইরাস চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রান্তিক কৃষকদের সহযোগিতায় বায়ার উদ্যোগ নেয়। এটা ছিল বিশ্বব্যাপী বেটার ফার্মস্-বেটার লাইভস্ নামক এক নতুন উদ্যোগ। কার্যক্রম এশিয়া, আফ্রিকা ল্যাটিন আমেরিকায় ২০ লাখ ক্ষুদ্র প্রান্তিক কৃষক জড়িত। এছাড়া বায়ার প্রান্তিক কৃষকদের সহযোগিতায় বপন থেকে ফসল কাটা পর্যন্ত আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি, বালাই ব্যবস্থাপনা উন্নত প্রযুক্তি বিষয়ক নানা প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।

বায়ার ক্রপক্লিনিক-এর মাধ্যমে দেশের কৃষকদের বিনা মূল্যে আধুনিক বালাইনাশক, বীজ, ফসলের দাম সম্পর্কিত তথ্য, ফসলের পুষ্টি ব্যবস্থাপনাবিষয়ক তথ্যসহ নানাবিধ পরামর্শের মধ্য দিয়ে সেবা দিচ্ছে। বায়ার বিশ্বের বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে।

জানা গেছে, বায়ার ক্রপসায়েন্স এদেশে যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এটি বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) জার্মানি-ভিত্তিক লাইফ সায়েন্স কোম্পানি বায়ার এজির একটি অংশীদারিত্বমূলক ব্যবসায়িক উদ্যোগ। বাংলাদেশ কার্যালয়ে ১১০ কর্মী প্রতিনিয়ত এদেশের কৃষির উন্নয়নসাধন খাদ্যোৎপাদন সহযোগিতায় কাজ করে যাচ্ছেন। বায়ারের মূল লক্ষ্য হলো কৃষিজ উৎপাদন বৃদ্ধি প্রান্তিক কৃষকদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন