প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গা পূজা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে গতকাল শেষ হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাঁচ দিনব্যাপী দুর্গা পূজা। গতকাল দুপুর থেকে প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়। বেলা দেড়টার দিকে ঢাকার বুড়িগঙ্গার ওয়াইজঘাটের বীণাস্মৃতি স্নানঘাটে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে রাজধানীতে দেবীকে বিদায় জানানোর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর একের পর এক বিভিন্ন মণ্ডপ থেকে ঘাটে প্রতিমা আসতে থাকে বিসর্জনের জন্য।

এর আগে গতকাল সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটের মধ্যে দশমী পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা বা দর্পণ বিসর্জন হয়। সকাল ৬টা ৪৫ মিনিট পর শ্রী শ্রী দেবীর দশমীবিহিত পূজারম্ভ প্রতিমা-নিরঞ্জন শান্তির জল প্রদান করা হয়। দর্পণ বিসর্জনের পর দেবী দুর্গা অন্য দেবদেবীর বিসর্জন দেয়া হয়। এর মধ্য দিয়ে দেবী মর্ত্য ছেড়ে স্বর্গে ফেরেন।

দুপুর ১২টা থেকে ঢাকায় প্রস্তুত থাকে বিসর্জনের ঘাটগুলো। রাজধানীর বেশির ভাগ বিসর্জন হয় বুড়িগঙ্গার সোয়ারিঘাটে। টঙ্গীর তুরাগ নদীতেও বিসর্জন হয়। সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সবাইকে বিসর্জন শেষ করার নির্দেশনা দেয় মহানগর পূজা উদযাপন কমিটি।

বিসর্জনের সময় যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশের পাশাপাশি বিসর্জন ঘাটে কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা প্রস্তুত ছিলেন। বছর পূজায় কোনো ধরনের শোভাযাত্রা হয়নি। একটি মণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জনে যে জন প্রয়োজন (১০ জন), শুধু তাদেরই প্রতিমার সঙ্গে ঘাটে আসতে বলা হয়। প্রতিমা ঘাটে নেয়ার পর ভক্তরা শেষবারের মতো ধূপধুনো নিয়ে আরতি করেন। শেষে পুরোহিতের মন্ত্রপাঠের মধ্য দিয়ে দেবীকে নৌকায় তুলে বিসর্জন দেয়া হয়।

খুলনায় গতকাল শুভ বিজয়া দশমীর দিনে নির্বিঘ্নে প্রতিমা বিসর্জন সম্পন্ন হয়েছে। উপলক্ষে খুলনা মহানগরীর প্রতিমা বিসর্জনের জন্য নির্ধারিত স্পট জেলখানা ঘাট এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়।

খুলনা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার . মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার এবং খুলনা জেলা প্রশাসক জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল হোসেন প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠান সরেজমিন দেখতে জেলখানা ঘাট এলাকায় যান। সময় নির্বিঘ্নে প্রতিমা বিসর্জনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার জন্য সার্বিক সহযোগিতার ব্যাপারে পূজা উদযাপন কমিটিকে আশ্বস্ত প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হয়।

প্রতিমা বিসর্জনের জন্য আগত দর্শনার্থীদের উদ্দেশে অতিথিরা শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। সময় খুলনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইউসুপ আলী, পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, খুলনা মেট্টোপলিটন পুলিশর‌্যাব- এবং ব্যাটালিয়ন আনসারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন