২০২১ সালের প্রথমার্ধ

২ কোটি টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্য ইন্দোনেশিয়ার

বণিক বার্তা ডেস্ক

আগামী বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) ইন্দোনেশিয়ায় চালের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে কোটি ৭০ লাখ টন থেকে কোটি টনের মধ্যে। সম্প্রতি দেশটির কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তথ্য জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্স।

এছাড়া চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) ইন্দোনেশিয়ায় চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় কোটি ২৫ লাখ থেকে কোটি ৫০ লাখ টনের মধ্যে।

সম্প্রতি দেশটির কৃষিমন্ত্রী সায়ারুল ইয়াসিন লিম্পোও এক ওয়েবিনারে জানান, চলতি বছরের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া মৌসুমে দেশটিতে ৮২ লাখ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ হবে, যা শেষ হবে আগামী বছরের মার্চ মাসে। তবে ডিসেম্বর জানুয়ারিতে অতিবৃষ্টির কারণে আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) দেশটিতে আগের তুলনায় কমে কোটি ৬১ লাখ টন চাল উৎপাদন হয়েছে। বছরের বাকি সময় ইন্দোনেশিয়ায় আরো দেড় কোটি টনের মতো চাল উৎপাদনের প্রত্যাশা করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, বছরের শুরু থেকে খরা নভেল করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর সঙ্গে তীব্র লড়াই করেছে ইন্দোনেশিয়ার চাল উৎপাদন খাত। মূলত এসব কারণে দেশটিতে চাল উৎপাদন কমে এসেছে।

জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের (ডব্লিউএফপি) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনেও ইন্দোনেশিয়ার চাল উৎপাদনের বিষয়টি উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন সময়ে ইন্দোনেশিয়ায় সব মিলিয়ে কোটি ৬১ লাখ টন চাল উৎপাদন হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ দশমিক শতাংশ কম। ২০১৯ সাল থেকেই ইন্দোনেশিয়ার চাল উৎপাদনকারী এলাকাগুলোয় খরা দেখা দেয়, যা চলতি বছরের প্রথমার্ধেও অব্যাহত ছিল।

উল্লেখ্য, চাল উৎপাদনের জন্য ইন্দোনেশিয়ার খ্যাতি বিশ্বজোড়া। জনবহুল দেশটির অধিবাসীদের প্রধান খাদ্য চাল চাল থেকে তৈরি বিভিন্ন খাবার। কারণে প্রতি বছর দেশটিতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ চাল উৎপাদন হয়। বাড়তি চাহিদার কারণে আন্তর্জাতিক বাজার থেকেও খাদ্যপণ্যটি আমদানি করে ইন্দোনেশিয়া।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন