মালয়েশিয়ায় জরুরি অবস্থা ঘোষণার প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজ দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণার প্রস্তাব দিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মুহিদ্দিন ইয়াসিন। গত শুক্রবার রাজা আল সুলতান আবদুল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রস্তাব দেন তিনি। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া প্রস্তাব নিয়ে সুলতানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন মালয়েশিয়ার রাজা আল-সুলতান আবদুল্লাহ। গতকাল রাজপ্রাসাদের এক ঘোষণায় এসব কথা জানানো হলেও আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে বিস্তারিত বলা হয়নি। খবর রয়টার্স।

জানা গেছে, জরুরি অবস্থা ঘোষণার এমন প্রস্তাবের ঘোর নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির বিরোধী দলীয় নেতা আনোয়ার ইব্রাহিম। কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, জরুরি অবস্থা ঘোষণা করলে তাতে পার্লামেন্ট স্থগিত হয়ে যাবে। আনোয়ার ইব্রাহিম বলেছেন, ক্ষমতায় ঝুলে থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রী এমন প্রস্তাব দিয়েছেন। এদিকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর এমন প্রস্তাব নিয়ে কাউন্সিল অব রুলারের সঙ্গে আজ রোববার রাজপ্রাসাদে আলোচনায় বসার কথা দেশটির রাজার। তার পরই তিনি সিদ্ধান্ত জানাবেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর অনুযায়ী, শুক্রবার মুহিদ্দিন রাজার সঙ্গে দেখা করে এমন প্রস্তাব উত্থাপন করেন, যা থেকে পার্লামেন্ট বাতিল হয়ে যেতে পারে। সম্ভাব্য পদক্ষেপের ব্যাপক নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির বিরোধী রাজনীতিবিদরা। গতকাল শনিবার রাজপ্রাসাদের তত্ত্বাবধায়ক আহমেদ ফাদিল সামসুদ্দিন এক বিবৃতিতে জানান, রাজা শিগগিরই দেশের অন্য শাসকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তবে মুহিদ্দিনের প্রস্তাব নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

প্রসঙ্গত, গত মার্চে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই পার্লামেন্টের ২২২ সদস্যের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের সমর্থন থাকা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছেন মুহিদ্দিন ইয়াসিন। বিরোধী দলীয় নেতা আনোয়ার ইব্রাহিম গত সপ্তাহে নিজে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার দাবি করলে তার ওপর আরো চাপ বৃদ্ধি পায়। রাজনৈতিক অস্থিরতার পাশাপাশি নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা মোকাবেলা করতেও হিমশিম খাচ্ছে মালয়েশিয়া। দেশটিতে বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ হাজারের বেশি, যা এক মাস আগের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি। গত সপ্তাহ প্রতিদিন সাতশ থেকে আটশ জন করে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। শুক্রবার একদিনেই দেশটিতে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আগামী নভেম্বর মালয়েশিয়ার পার্লামেন্টের পরবর্তী অধিবেশন শুরুর কথা রয়েছে। আর নভেম্বর বাজেট উপস্থাপনের কথা রয়েছে। আর সেটিই হবে সরকারের জন্য প্রথম পরীক্ষা। সরকার বাজেট পাস করতে ব্যর্থ হলে তা অনাস্থা ভোট হিসেবে বিবেচিত হবে আর এর জেরে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান হতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন