জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম

নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর আহ্বান বাংলাদেশের

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেছেন, শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানো প্রয়োজন। শান্তিরক্ষায় নারী নেতৃত্ব বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন শান্তিতে নারীর ভূমিকা সামগ্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করা। গতকাল সামনে থেকে নেতৃত্বদান: জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় নারী নেতৃত্ব শীর্ষক এক ভার্চুয়াল ইভেন্টে তিনি কথা বলেন নিরাপত্তা পরিষদের ল্যান্ডমার্ক রেজল্যুশন-১৩২৫-এর ২০তম বার্ষিকী স্মরণে যৌথভাবে অনুষ্ঠান আয়োজন করে জাতিসংঘস্থ বাংলাদেশ, কানাডা যুক্তরাজ্য মিশন।

এতে জানানো হয়, নিরাপত্তা পরিষদের ল্যান্ডমার্ক রেজল্যুশন-১৩২৫-এর ২০তম বার্ষিকী স্মরণে যৌথভাবে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে জাতিসংঘস্থ বাংলাদেশ, কানাডা যুক্তরাজ্য মিশন। উল্লেখ্য, ২০০০ সালের ৩১ অক্টোবর নিরাপত্তা পরিষদে প্রথমবারের মতো শান্তি নিরাপত্তা রক্ষায় নারীর ভূমিকা শীর্ষক এই রেজল্যুশনটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

শান্তিরক্ষায় নারীর অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রণী ভূমিকার কথা তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোয় বিশেষ করে যৌন লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা দমন, পারস্পরিক আস্থার সম্পর্ক তৈরি এবং ওইসব সমাজের নারীদের দেশ গঠনের কাজে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে নারী শান্তিরক্ষীদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অবদানের কথা উল্লেখ করেন তিনি। তবে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমসহ সামগ্রিক শান্তি প্রক্রিয়ায় এখনো নারীর অংশগ্রহণ খুবই অপ্রতুল মর্মে উল্লেখ করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।

শান্তিরক্ষায় নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করতে জাতিসংঘ অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রের চলমান প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারী শীর্ষক নিরাপত্তা পরিষদের সাম্প্রতিক রেজল্যুশন-২৫৩৮-এর উদাহরণ টেনে নারীর ব্যাপক অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ প্রদান, মিশনগুলোয় নারীবান্ধব স্থান পরিবেশ তৈরি এবং নারী, শান্তি নিরাপত্তা (ডব্লিউপিএস) এজেন্ডার বাস্তবায়নে আহ্বান জানান বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। জাতীয় পর্যায়ে ডব্লিউপিএস এজেন্ডা বাস্তবায়নার্থে গতিশীল প্রচেষ্টা গ্রহণ এবং কান্ট্রি অফিসগুলোসহ জাতিসংঘ ব্যবস্থাপনায় অভ্যন্তরীণভাবে এটি কার্যকর করার প্রতিও আহ্বান জানান তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন