লকডাউনে চাঙ্গা ইএমইএ অঞ্চলের পিসি বাজার

বণিক বার্তা ডেস্ক

প্রবৃদ্ধির ধারায় রয়েছে ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য আফ্রিকা (ইএমইএ) অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী ব্যক্তিগত কম্পিউটারের (ডেস্কটপ, নোটবুক ওয়ার্কস্টেশন) বাজার। খাতে চলতি ২০২০ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় গড়ে ১১ দশমিক শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। ইন্টারন্যাশনাল ডাটা করপোরেশনের (আইডিসি) তথ্যমতে, সময় উল্লিখিত অঞ্চলে কোটি ১০ লাখ ইউনিট পিসি বিক্রি হয়েছে।

ইএমইএ অঞ্চলে পিসি সরবরাহ বিক্রির উপাত্ত বিশ্লেষণ করে আইডিসি দেখিয়েছে, ভোক্তা চাহিদা দ্বিতীয় প্রান্তিকে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৯ দশমিক শতাংশ বেড়েছিল। পরের প্রান্তিকে চাহিদা কিছুটা কমলেও এখনো প্রবৃদ্ধি যথেষ্ট শক্তিশালীই, যা বাণিজ্যিক চাহিদায় মৃদু পতন কাটিয়ে ওঠার জন্য যথেষ্ট বলেই মনে করা হচ্ছে। যেখানে তৃতীয় প্রান্তিকে চাহিদায় প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক, . শতাংশ।

এদিকে পশ্চিম ইউরোপের পিসি মার্কেট আরেকটি শক্তিশালী প্রান্তিক উপভোগ করল। সময় সেখানে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক শতাংশ। তৃতীয় প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে নোটবুক। এটির চাহিদা বেড়েছে দুই অংকের ঘরে।

আইডিসির ওয়েস্টার্ন ইউরোপিয়ান পারসোনাল কম্পিউটিং ডিভাইসেস বিভাগের রিসার্চ ম্যানেজার মালিনি পাল বলেন, পশ্চিম ইউরোপে কনজ্যুমার শিপমেন্টে টানা দ্বিতীয় প্রান্তিকে ঝাড়া দুই অংকের প্রবৃদ্ধি হয়েছে। স্কুল বন্ধ থাকায় অনলাইন ক্লাসের জন্য মূলত নোটবুকের মতো মোবাইল ডিভাইসের চাহিদা বেড়েছে। তেমনি বিনোদন কিংবা গেম খেলার জন্য বেড়েছে ডেস্কটপ কম্পিউটারের চাহিদা। কারণেই প্রাথমিক প্রবৃদ্ধি এমন শক্তিশালী।

তিনি আরো বলেন, লেনোভো, এইচপি অ্যাপলই পশ্চিম ইউরোপে ভোক্তা বাজারের সিংহভাগ হিস্যা দখল করে আছে। তবে তৃতীয় প্রান্তিকে এইচপির জায়গা ছিনিয়ে নিয়েছে লেনোভো।

অবশ্য পশ্চিম ইউরোপের সামগ্রিক বাণিজ্যিক চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ গত বছর আগের তুলনায় দশমিক শতাংশ কমেছে। ডেস্কটপের বাজার পারফরম্যান্স ক্রমাবনতির দিকে, এক বছর আগের তুলনায় যার পতন হয়েছে ৫২ দশমিক শতাংশ।

বাজারে নিত্যনতুন উদ্ভাবনী জিনিসের আগমন ঘটছে। এছাড়া অফিসগুলো বন্ধ থাকায় অধিকাংশ কর্মীকে কাজ করতে হচ্ছে বাসায় থেকে, কারণে স্টেশনারি ডিভাইসের (ডেস্কটপ পিসি) বাণিজ্যিক চাহিদা তৃতীয় প্রান্তিকে খুব বেশি কমে গেছে।

ডেস্কটপের চাহিদা কমলেও অনেক বেড়েছে নোটবুকের চাহিদা। তৃতীয় প্রান্তিকে ধরনের ডিভাইসের চাহিদা গত বছরের তুলনায় বেড়েছে ২৪ দশমিক শতাংশ। স্কুল, কলেজ বন্ধ থাকার কারণে এখন শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাসে অংশ নিতে হচ্ছে। কারণে যেসব ডিভাইস শিক্ষার্থীবান্ধব সেসবেরই কদর বেশি এবং নিশ্চিতভাবেই তা বহনযোগ্য ডিভাইস। আর অফিস বন্ধ থাকার কারণে যারা হোম অফিস করছেন, তারাও দ্রুত সহজ সমাধান হিসেবে নোটবুকের মতো হালকা বহনযোগ্য ডিভাইস বেছে নিচ্ছেন।

মধ্য পূর্ব ইউরোপ (সিইই) এবং মধ্যপ্রাচ্য আফ্রিকা অঞ্চলের (এমইএ) বাজার পারফরম্যান্স তৃতীয় প্রান্তিকে দুর্দান্ত ছিল। সময় এমইএকে পেছনে ফেলেছে সিইই। সিইই অঞ্চলে ঐতিহ্যবাহী পিসি মার্কেট গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯ দশমিক শতাংশ বেড়েছে, এখানে বাণিজ্যিক ভোক্তা উভয় ক্ষেত্রেই চাহিদা বৃদ্ধি প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে।

আইডিসির স্টেফানিয়া লরেঞ্জ নিয়ে বলেন, শিক্ষা খাতে বড় কিছু চুক্তি আর হোম অফিসের কারণেই মূলত বাণিজ্যিক চাহিদায় উল্লম্ফন এসেছে। খাতে তৃতীয় প্রান্তিকে আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে দশমিক শতাংশ।

অপরদিকে ভোক্তা চাহিদায় সফলতা এসেছে বিনোদন চাহিদা বৃদ্ধি আর শিক্ষার্থীদের বাসায় থেকে পড়াশোনাসহায়ক ডিভাইসের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে। খাতে তৃতীয় প্রান্তিকে আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৯ দশমিক শতাংশ। বসন্ত চলতি বছরের শেষদিকে এসেও কভিড-১৯ মহামারী নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে বাণিজ্যিক ভোক্তা উভয় ক্ষেত্রেই চাহিদা বেড়েছে।

মধ্যপ্রাচ্য আফ্রিকায় ঐতিহ্যবাহী পিসি মার্কেটে তৃতীয় প্রান্তিকে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে দশমিক শতাংশ। এক্ষেত্রে ভোক্তা চাহিদায় ১৭ দশমিক শতাংশ প্রবৃদ্ধি পিসি মার্কেটের প্রবৃদ্ধি এনে দিয়েছে। অঞ্চলে শিক্ষা খাতে খুব কমসংখ্যক চুক্তি হওয়ার কারণে কমার্শিয়াল খাতে প্রবৃদ্ধি নেই। আইডিসি

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন