প্রধান শিক্ষকদের ২০১৪ সালের মার্চ থেকে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে প্রাপ্য টাইমস্কেল প্রদানের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা পত্র বাতিলসহ ১০ দফা দাবিতে আন্দোলনে যাচ্ছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
আজ শনিবার
(২৪ অক্টোবর)
ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির
‘সাগর রুনি’ হলে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নেতারা।
সংগঠনের সভাপতি ওয়েছ আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির মহা-সম্পাদক মো.
আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন নির্বাহী সভাপতি মো.
জাহিদুর রহমান বিশ্বাস,
সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি জনাব মোফাজ্জল হোসেন,
সিনিয়র যুগ্ম মহা-সম্পাদক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন,
সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুর রহমান,
সৈয়দ জাকারিয়া,
মঞ্চু লাল দে,
জাকারিয়া ভূঁইয়া,
রাবেয়া বেগম,
মতিউর রহমান,
আহমেদ কিবরিয়া বকুল,
মমিনুল হক,
সহ-সভাপতি সোহিনুর রহমান খান,
আব্দুল কাইয়ূম,
আবুল কালাম আজাদ,
তপন কুমার সরকার,
সহ-অর্থ সম্পাদক মো.
আনোয়ার উল্লাহ ও দপ্তর সম্পাদক এনামুল হক প্রমুখ।
শিক্ষকদের ১০ দফা দাবি হলো-
১। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পদোন্নতি প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের টাইমস্কেল প্রদানসহ অন্যান্য প্রধান শিক্ষকদের ২০১৪ সালের মার্চ থেকে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের প্রাপ্য টাইমস্কেল প্রদানের বিষয়ে গত ১৫ অক্টোবর অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা ১৪১ নং পত্রটি জরুরি ভিত্তিতে প্রত্যাহার করে টাইমস্কেল প্রদানের ব্যবস্থা করা।
২।
(ক)
বর্তমানে প্রধান শিক্ষকদের যোগ্যতা ও দায়িত্বের কথা বিবেচনা করে ৮ম গ্রেডে উন্নীত করা,
(খ)সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ সৃষ্টিসহ ৯ম গ্রেডে বেতনস্কেল নির্ধারণ করা,
(গ)
স্নাতক/স্নাতকোত্তর শিক্ষাগত যোগ্যতার পরিপ্রেক্ষিতে সঙ্গত কারণেই সহকারী শিক্ষকদের বেতনস্কেল বর্তমান বেতনস্কেলের ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা।
৩। চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের দ্রুত পদোন্নতির ব্যবস্থা করা।
৪। সমন্বিত নিয়োগ বিধিতে শুধুমাত্র সহকারি শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রদান করে উক্ত পদ থেকে প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসনের সর্বোচ্চপদ পর্যন্ত শর্তহীন ভাবে পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করা।
৫। প্রাথমিক শিক্ষা সম্পর্কীয় বিভাগীয় নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সাংগঠনিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা।
৬। সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের অবিলম্বে নন-ভেকেশনাল কর্মচারী হিসাবে ঘোষণা করে অন্যান্য সরকারি কর্মচারীদের ন্যায় সুযোগ সুবিধা প্রদান করা।
৭। অবিলম্বে দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা কার্যকর করা।
৮। অন্যান্য সরকারি কর্মচারীদের ন্যায় সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ২দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করা ও দিনে সর্বোচ্চ ৪টি পিরিয়ড পাঠদানের ব্যবস্থা কর।
৯। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্টিবোর্ড কার্যক্রম গতিশীল করা।
১০। শিক্ষকদের বিভিন্ন বিভাগীয় প্রশিক্ষণে শুধুমাত্র শিক্ষকদের মধ্যে থেকে প্রশিক্ষক নির্বাচন,
শিক্ষকদের শ্রান্তী বিনোদন ভাতার জটিলতা নিরশন,
প্রশিক্ষনের পর উচ্চধাপে বেতন নির্ধারণ করা।
