দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সিন্ডিকেট ভাঙতে কাজ করছে সরকার: কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য ওঠানামার পেছনে একটা সিন্ডিকেট সবসময় কাজ করে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, সরকার সিন্ডিকেটের কাছে হেরে যাচ্ছে না। সিন্ডিকেট ভাঙতে কাজ করে যাচ্ছে।

গতকাল আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সিন্ডিকেটের কাছে সরকার হেরে যাচ্ছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, দেখুন একটা সিন্ডিকেট সবসময় কাজ করে। তাদের কাছে হেরে যাওয়া, কথাটা ঠিক নয়। সরকার সিন্ডিকেট ভাঙতে কাজ করছে। আপনি প্রতিবেশী সব দেশের দিকে তাকান, করোনা পরিস্থিতিতে বাজার মূল্য, কোথাও আমদানি-রফতানিতে আগের পর্যায়ে কেউ নেই এবং এখানে উৎপাদনেরও একটা ব্যাপার আছে। পেঁয়াজ যদি আমাদের দেশে ঘাটতি থাকে, সেটা আমরা কাছের দেশ ভারত থেকে আনি। আমাদের সরকারের চেষ্টার ফলে ভারতীয় পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে। অন্য জিনিসপত্রের দামও ওঠানামা করবে। এখন বর্ষা, সময় একটু দ্রব্যমূল্য বাড়ে, আবারো এগুলো ঠিক হয়ে আসে। বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের বাণিজ্যমন্ত্রী আপনাদের তার বিফ্রিংয়ে বলে থাকেন। কাজেই নিয়ে আর মন্তব্য করতে চাই না।

দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, একটা কথা বলা হয় এতদিন সব সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। কথা ঠিক নয়। সাত মাস ধরেই আমাদের রাজনৈতিক সাংগঠনিক কার্যক্রম ছিল। সারা দেশে বন্যা মোকাবেলা, ঘূর্ণিঝড় আম্পান বৈশ্বিক মহামারী করোনা মোকাবেলায় আমাদের নেতাকর্মীরা সক্রিয় ছিল। আওয়ামী লীগ কোথাও অনুপস্থিত ছিল না।

তিনি বলেন, আমাদের সহযোগী সংগঠনগুলো কৃষকদের ধান কেটে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়েছে। এগুলো তো আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডের বাইরে নয়। এগুলো আমরা আমাদের দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে করেছি। করোনাকালে আমাদের কমিটি গঠন প্রক্রিয়াটা বন্ধ ছিল। আমাদের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড বন্ধ ছিল না।

অপরাধীকে সরকার ছাড় দিচ্ছে না জানিয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, আমাদের নেত্রী ধর্ষণ-নারী নির্যাতনের সঙ্গে যারাই জড়িত, কোনো অপারাধীকে ছাড় দেননি। এখানে কোনো প্রকার আপস করা হয়নি। ব্র্রিটেনের মতো দেশে ৫৫ হাজার নারী ধর্ষিত, নির্যাতিত হয়েছে। করোনার জন্য সারা বিশ্বে পারিবারিক সহিংসতা বেড়ে গেছে। নারীরা শিকার হয়েছে বেশি। সেখানে বাংলাদেশ ব্যতিক্রম নয়। আমাদের দেশের হিসাবে এক বছরে এক হাজার ধর্ষণ নির্যাতনের বিষয় আপনি আনতে পারেন। কিন্তু ব্রিটেনের মতো দেশে এই যে ৫৫ হাজার নারী নির্যাতিত হয়েছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সরকারের পদত্যাগ কেউ দাবি করেনি।

বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা বারবার নির্বাচন আন্দোলনের প্রত্যাখ্যাত হয়ে বারবার বিফ্রিং করে আন্দোলনের ডাক দিচ্ছেন। পরীক্ষার পর আন্দোলন, রোজার ঈদের পর আন্দোলন, কখনো কোরবানির পর আন্দোলন; কত রোজা গেল, ঈদ কত গেল, কত পরীক্ষা চলে গেল, এই বছর না ওই বছর, আন্দোলন করে বিএনপি।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন