দেশে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৪ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে ১ হাজার ৫৮৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। একদিনে নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১১ দশমিক ২৩ শতাংশ। দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে দেশের ১১১টি পরীক্ষাগারের তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৮৫৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আগের কিছু নমুনাসহ মোট ১৪ হাজার ১১৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৫৮৬ জন করোনা রোগী। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২২ লাখ ৩৫ হাজার ৪৮৮টি। মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৪১৩ জনে। মোট মারা গেছেন ৫ হাজার ৭৬১ জন করোনা রোগী। গত একদিনে সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ৫৩৩ জন। মোট সুস্থ হয়েছে ৩ লাখ ১২ হাজার ৫৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার বেড়ে ১১ দশমিক ২৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মোট শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৭৩ শতাংশ। সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৭৮ দশমিক ৭২ শতাংশ। মৃতদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ ও একজন নারী। মারা যাওয়াদের মধ্যে ১২ জনেরই বয়স ৬০ বছরের ওপরে। একজন করে দুজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ ও ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। তাদের মধ্যে ১২ জন ঢাকা ও দুজন রাজশাহী বিভাগের বাসিন্দা। তাদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ঘটে। গত ১১ মার্চ নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণে সৃষ্ট রোগ কভিড-১৯-কে বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বর্তমানে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এ ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। এ পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময় গতকাল বিকাল পর্যন্ত) বিশ্বে করোনা সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে ৪ কোটি ২০ লাখ ৬৮ হাজার ২৭৪ জন। মৃত্যু হয়েছে মোট ১১ লাখ ৪৩ হাজার ৮০৭ জনের। বর্তমানে শীতপ্রধান দেশগুলোতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নতুন গতিতে বাড়তে শুরু করেছে। বাংলাদেশে ভাইরাসটির প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত হয় ৮ মার্চ ও ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম এ রোগে আক্রান্ত কোনো রোগীর মৃত্যু ঘটে।