কলাকেন্দ্রে ‘আর্ট ইন আইসোলেশন’

রাইসা জান্নাত

করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল আর্ট গ্যালারিগুলোর কার্যক্রম। নতুন স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে জুন থেকে বেশকিছু গ্যালারিতে প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। মূলত এভাবে বর্তমান কভিড পরিস্থিতির মাঝেই গ্যালারি পরিচালকরা তাদের গ্যালারি কার্যক্রম সচল রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। করোনায় লকডাউনের কারণে গ্যালারি কলাকেন্দ্রের কার্যক্রমও অনেক দিন বন্ধ ছিল। ২৭ অক্টোবর কলাকেন্দ্রে শুরু হতে যাচ্ছে মাসব্যাপী প্রদর্শনী। আর্ট ইন আইসোলেশন, লিভিং অ্যান্ড ওয়ার্কিং ইন দি এক্সিবিশন স্পেস শিরোনামের প্রদর্শনীটি শেষ হবে ২০ নভেম্বর।

মাসব্যাপী প্রদর্শনীটি প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। এতে অংশ নিচ্ছেন পাঁচজন তরুণ আর্টিস্ট। তারা হলেন মোহাম্মেদ রবিন, রিপন চন্দ্র বণিক, রামিত হাসান, শিমুল রুরাম সজীব সেন। প্রদর্শনীতে পাঁচজন শিল্পীর প্রায় ২০টি কাজ প্রদর্শিত হবে।

আর্ট ইন আইসোলেশন শিরোনামের প্রদর্শনীটি নিয়ে কথা হয় কলাকেন্দ্রের কিউরেটর ওয়াকিলুর রহমানের সঙ্গে। প্রদর্শনীর উদ্বোধনী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মুহূর্তে অনেক মানুষের সমাগমে প্রদর্শনীর উদ্বোধন বুদ্ধিমানের কাজ হবে বলে মনে করছি না। আমাদের গ্যালারি খোলা থাকবে। সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি নিজ উদ্যোগে সবাই এসে যেন প্রদর্শনীটি উপভোগ করেন।


‘‘এর মধ্যে আমরা পুরো ডকুমেন্টশন নিয়ে একটা ক্যাটালগ প্রকাশ করব। এটাকে কেন্দ্র করে ভাবছি পরিস্থিতি আরেকটু স্বাভাবিক হলে আগে যেমন আর্টিস্ট টক করতাম, সেভাবে বড় করে লোকজনকে আমন্ত্রণ জানানোর। আপাতত প্রদর্শনী খুলে দিয়েছি, যে কেউ এসে দেখতে পারবেন’—তিনি যোগ করেন।

করোনার কারণে লম্বা সময় কলাকেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। দীর্ঘ বিরতির পর তরুণ আর্টিস্টদের কাজ নিয়ে প্রদর্শনী করতে চলেছেন। বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়াকিলুর রহমান বলেন, কলাকেন্দ্রের পলিসি অনুযায়ী আমরা যে শুধু একাডেমিকভাবে কোয়ালিফাইড আর্টিস্টদের কাজ দেখিয়েছি তা কিন্তু নয়। এর বাইরেও আমরা অন্য আর্টিস্টদের কাজ দেখিয়েছি। সে সুবাদে পাঁচজন তরুণের কাজ নিয়ে প্রদর্শনীটি করছি।


দীর্ঘদিন বাদে কলাকেন্দ্রে শারীরিক উপস্থিতির মধ্য দিয়ে প্রদর্শনী হতে যাচ্ছে। নিয়ে ওয়াকিলুর রহমানের ভাষ্য, কলাকেন্দ্র এমন একটি সংগঠন, যেটা আমরা নিজেরাই চালাই এবং যার কোনো অর্থনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। তো করোনার সময় রকম একটি সংগঠনের টিকে থাকা, অনুষ্ঠান ছাড়া একটা আর্ট স্পেসকে চলমান রাখা খুব কঠিন। এখন ধরনের অনেক সংগঠন বন্ধ হতে দেখছি। আমাদের মধ্যে এক ধরনের বোঝাপড়া থাকার কারণে সবাই একমত ছিলাম যে আমরা স্পেসটা ছাড়ব না। প্রদর্শনী করব। কলাকেন্দ্র করোনার মধ্যে দুটো প্রজেক্ট করেছে। আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটের দিক থেকে আমাদের কিন্তু বাইরে বের হতেই হচ্ছে। এতদিন পর এভাবে শারীরিক উপস্থিতিতে প্রদর্শনীর আয়োজন করে ভালোবোধ করছি। সামনে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ধরনের কার্যক্রম সক্রিয় রাখার চেষ্টা থাকবে বলেও তিনি জানান।

কথায় কথায় কলাকেন্দ্রের আগামীর কাজকর্ম নিয়ে পরিকল্পনার কথা জানালেন ওয়াকিলুর রহমান। বললেন, আরো বড় পরিসরে কলাকেন্দ্রের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন তারা। আগামীতে নতুন পরিসরে, নতুনভাবে বড় পরিসরে কাজ করবে আর্ট স্পেস কলাকেন্দ্র।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন