হাঙ্গার গেমসের আইকনিক তিন আঙুলের স্যালুট বই আর সিনো থেকে এখন থাইল্যান্ডে সরকারবিরোধী আন্দোলনকারীদের প্রতীকে পরিণত হয়েছে। হাঙ্গার গেমস উপন্যাস কিংবা চলচ্চিত্রে দেখা যায় তিন আঙুলের নীরব এক স্যালুট রীতি। এ বিশেষ স্যালুট এখন বাস্তব দুনিয়ার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। থাই আন্দোলনকারীরা গ্রহণ করেছেন এ স্যালুট, এটা এখন তাদের আন্দোলনের বিশেষ চিহ্ন।
থাইল্যান্ডে সরকারের দুর্নীতি ও রাজতন্ত্রের সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলছে প্রায় নয় মাস। সম্প্রতি এ বিক্ষোভের একটি বিশেষ ঘটনা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের দৃষ্টি কেড়েছে—হাজার হাজার মাস্ক পরা বিক্ষোভকারী তাদের প্রতিবাদ সমাবেশে তিন আঙুলের নীরব স্যালুট প্রদর্শন করছেন।
প্রতিবাদে এ স্যালুট প্রথম থাইল্যান্ডেই দেখা গিয়েছিল, সেটা ২০১৪ সালে। সে সময় অনেক চেষ্টা করেও এ স্যালুট থামানো যায়নি। ২০২০ সালে এসে এ বিশেষ স্যালুট আরো বিস্তৃতভাবে ব্যবহূত হতে শুরু করেছে, সঙ্গে বেড়েছে এর প্রতীকি গুরুত্ব। তিন আঙুল এখন আন্দোলনকারীদের তিন দাবিকে উপস্থাপন করছে—সংসদ ভেঙে দেয়া, জনগণের ওপর হুমকি-ধামকি বন্ধ করা ও নতুন সংবিধান রচনা করা।
এশিয়ার আরো কয়েকটি দেশে হাঙ্গার গেমসের স্যালুট ব্যবহারের নিদর্শন রয়েছে। বিশেষত তরুণদের প্রতিবাদে। গত বছর গণতন্ত্রের দাবিতে হংকংয়ে হওয়া আন্দোলনে ছাত্র বিক্ষোভকারীরা এ স্যালুট ব্যবহার করেছেন।
সুজান কলিনসের উপন্যাস হাঙ্গার গেমস এবং এর কাহিনী নিয়ে লায়নসগেট ফিল্মসের চার পর্বের ফ্র্যাঞ্চাইজিতে তিন আঙুলের স্যালুট দেখা যায় মর্যাদা, প্রশংসা ও বিদায় জানানোর রীতি হিসেবে। মূল কাহিনীতে দেখা যায় প্রধান চরিত্র ক্যাটনিজ এভারডিনের জন্মস্থানের জনগণ এ রীতিতে স্যালুট দেখায়। একসময় যখন এভারডিন ও তার সমর্থকরা লড়াইয়ে জিততে থাকেন, তখন এ স্যালুট হয়ে ওঠে ডিস্ট্রিক্ট ওয়ানের নিপীড়ক শাসকদের বিরুদ্ধে তাদের অবাধ্যতা ও সংহতির প্রতীক।
সূত্র: হলিউড রিপোর্টার