জ্বালানি তেলের বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরছে

বণিক বার্তা ডেস্ক

জ্বালানি তেলের বাজারে কিছুটা স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। জ্বালানি পণ্যটির অন্যতম শীর্ষ উত্তোলক দেশ রাশিয়ার পক্ষ থেকে আগামীতে রেকর্ড পরিমাণ উত্তোলন কমিয়ে আনার ইঙ্গিত দেয়ার কারণে গতকাল জ্বালানি তেলের বাজারে স্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করতে দেখা যায়। যদিও দিনের শুরুতে দাম সামান্য পরিমাণে কমে যায়। খবর রয়টার্স

গতকাল দিনের শুরুতে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম প্রতি ব্যারেলে সেন্ট কমে ৪২ ডলার ৪৫ সেন্টে বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে মার্কিন বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) সেন্ট কমে প্রতি ব্যারেলের মূল্য দাঁড়িয়েছে ৪০ ডলার ৬২ সেন্টে।

এর আগের দিন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানান, করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে চাহিদা কিছুটা কমে যাওয়ায় আগামীতে তারা আরো বেশি উত্তোলন কমিয়ে আনার বিষয়টি ভাবছেন। তিনি বলেন, বৈশ্বিক জ্বালানি তেলের উত্তোলন আরো বেশি কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন আনার বিষয় দেখছে না রাশিয়া। এমনকি বাজার যদি আরো খারাপ পরিস্থিতির দিকে যায়, তাহলে তারা উত্তোলন আরো হ্রাস করার বিষয়টি ভেবে দেখবে।

জ্বালানি তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে রাশিয়া অন্যতম খেলোয়াড়। ফলে দেশটির প্রেসিডেন্টের কথায় এটি স্পষ্ট যে মহামারীর কারণে বাজার চাহিদা হ্রাস পাওয়ায় দেশটি জ্বালানি তেলের উত্তোলন নজিরবিহীনভাবে কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে প্রস্তুতি নিচ্ছে।

জ্বালানি তেলের বাজারে রাশিয়ার যেকোনো পদক্ষেপ মন্তব্যই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ জ্বালানি পণ্যটির বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত আধিপত্য এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রফতানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেকের সঙ্গে রাশিয়াসহ অন্যান্য উত্তোলনকারী দেশ নিয়ে ওপেক প্লাস জোট গঠিত হয়। যার নেতৃত্বে একদিকে রয়েছে সৌদি আরব, অন্যদিকে রাশিয়া। ফলে রাশিয়ার বিশেষ করে পুতিনের যেকোনো মন্তব্য ওপেক প্লাসের জোটেরই ইঙ্গিত হিসেবে ধরে নেয়া যায়। বাজারবিষয়ক বিশ্লেষক এডওয়ার্ড ময়ার মনে করেন, পুতিন মূলত ইঙ্গিত দিচ্ছেন যে বাজার যেদিকেই যাক না কেন জ্বালানি তেলের স্বার্থের দিক থেকে সৌদি-রাশিয়া সম্পর্ক এখনো দৃঢ়। ফলে জ্বালানি তেলের বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে তারা যা কিছু করা প্রয়োজন তার সবটাই করার জন্য প্রস্তুত।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন