চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ১৩০ কোটি ইউরো লোকসান হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস গ্রুপের (আইএজি)। বিশ্লেষকদের পূর্বাভাসের চেয়ে এ লোকসান অনেক বেশি। আলোচ্য সময়ে প্রতিষ্ঠানটিকে ৯২ কোটি ইউরো লোকসান গুনতে হতে পারে বলে ধারণা করা হয়েছিল। খবর রয়টার্স।
গত বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ১৪০ কোটি ইউরো মুনাফা করেছিল আইএজি। সেখানে চলতি বছরের একই সময়ে মোটা অংকের লোকসানে পড়ল কোম্পানিটি। এর প্রধান কারণ হলো নভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশে দেশে আরোপিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা। এ নিষেধাজ্ঞার কারণে মুখ থুবড়ে পড়েছে বৈশ্বিক ভ্রমণ খাত, যার প্রভাব থেকে বাঁচতে পারেনি আইএজি।
আকাশসেবা সংস্থা ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, ইবেরিয়া, বুয়েলিং ও এয়ার লিংগুস পরিচালনা করে আইএজি। এভিয়েশন খাতে চলমান মন্দা ভাবের কারণে চলতি বছরের বাকি সময়ের জন্য প্রতিষ্ঠানটি তাদের সক্ষমতা পূর্বাভাস কমাতে বাধ্য হয়েছে। আইএজি গতকাল জানিয়েছে, চলতি বছরের শেষ প্রান্তিকে তারা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় সক্ষমতার ৩০ শতাংশের বেশি ফ্লাইট পরিচালনা করবে না। ফলে চতুর্থ প্রান্তিকে কোম্পানিটি পরিচালন ব্যয় ও নিট আয়ের ব্রেকইভেন পয়েন্টে পৌঁছতে পারবে না বলে জানিয়েছে।
অবশ্য আইএজির তারল্য প্রবাহ এখনো বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে বলে কোম্পানিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে প্রতিষ্ঠানটি শেয়ারহোল্ডারদের কাছ থেকে ২৭৪ কোটি ইউরোর তহবিল সংগ্রহ করেছে। ফলে কোম্পানিটির হাতে এখন ৯৩০ কোটি ইউরো নগদ অর্থ রয়েছে।
গত সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে উইলি ওয়ালশের কাছ থেকে আইএজির প্রধান নির্বাহীর (সিইও) দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন লুই গ্যালেগো। তার অধীনে এই প্রথম প্রান্তিকীয় আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করল প্রতিষ্ঠানটি।
