‘ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের’ সংজ্ঞা হালনাগাদ করল সিডিসি

বণিক বার্তা ডেস্ক

করোনাভাইরাসে সংক্রমিত লোকদের থেকে অন্য লোকদের সংক্রমণের ঝুঁকির ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের (ক্লোজ কনট্যাক্ট) সংজ্ঞা হালনাগাদ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) পরিবর্তনে বিদ্যালয়, কর্মক্ষেত্র অন্যান্য দলগত যোগাযোগের মতো দীর্ঘ সময় ধরে একে অন্যের কাছাকাছি আসার বিষয়গুলোতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়তে পারে। এটা ভাইরাসের বিস্তার রোধে মাস্ক পরার গুরুত্বকেও তুলে ধরে।

সিডিসি এর আগে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগকে সংজ্ঞায়িত করেছিল, করোনাভাইরাস পজিটিভ শনাক্ত হওয়া কোনো ব্যক্তির সঙ্গে ছয় ফুট দূরত্বের মধ্যে যিনি কমপক্ষে ১৫ মিনিট সময় ব্যয় করেছেন। এদিকে বুধবার সিডিসির বিবৃতি অনুসারে হালনাগাদ নির্দেশিকায় সংক্রমিত ব্যক্তির ছয় ফুট দূরত্বের মধ্যে যিনি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মোট ১৫ মিনিটি বা তারও বেশি সময় ব্যয় করেছেন, এটাকে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। স্বাস্থ্য বিভাগগুলো এখন নতুন নির্দেশিকা অনুসারে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান করবে।

সিডিসির সংক্রামক রোগ বিভাগের উপপরিচালক জে বাটলার বুধবার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে দুর্ভাগ্যজনকভাবে একটি সংকটজনক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। লোকজন পরামর্শ পেতে পেতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। তবে আগের চেয়ে শরৎ শীতকালে মাস্ক ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মানুষ সময় ঘরের মধ্যে অনেক বেশি সময় ব্যয় করে, যেখানে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিডিসির একজন কর্মকর্তার মতে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে সিডিসির বিজ্ঞানীরা কয়েক সপ্তাহ ধরে আলোচনা করছিলেন। এর পরই বুধবার হালনাগাদ নির্দেশিকা এল। এর আগে সিডিসি ভারমন্ট অঙ্গরাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা আবিষ্কার করেন, ২০ বছর বয়সী একজন কারাগারের কর্মচারী ঘণ্টার শিফটে মোট ১৭ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে ২২টি মিথস্ক্রিয়া করেছিলেন এবং পরবর্তী সময়ে তিনি পজিটিভ পরীক্ষা করেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সহজলভ্য তথ্য থেকে জানা যায়, সংক্ষিপ্ত মিথস্ক্রিয়ার সময় কমপক্ষে একজন বন্দি লক্ষণহীন সংক্রমিত ছিলেন। তার থেকেই কারাগারের ওই কর্মী সংক্রমিত হয়েছিলেন। নিবন্ধটি কভিড-১৯- সংক্রমণের ঝুঁকি সম্পর্কিত বৈজ্ঞানিক জ্ঞান যুক্ত করেছে এবং সংক্রমণ রোধে ফেস মাস্ক পরার গুরুত্বকে আবারো তুলে ধরেছে।

সিডিসি বলেছে, ভাইরাস সংক্রমিত অর্ধেক মানুষই লক্ষণহীন হয়ে থাকে। সুতরাং মাস্ক পরা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনি নিজেও জানেন না যে লক্ষণহীনভাবে আপনি ভাইরাসটি বহন করছেন কিনা। যদিও একটি মাস্ক ব্যবহারীকে সীমিত সুরক্ষা দিয়ে থাকে, তবে প্রত্যেকে মাস্ক পরার বিষয়টি সবার জন্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে। যখন যত বেশি মানুষ মাস্ক পরবে, তখন তত বেশি মানুষ সুরক্ষিত থাকবে।

হালনাগাদ নির্দেশিকাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হিসেবে অভিহিত করেছেন জনস হপকিন্স সেন্টার ফর হেলথ সিকিউরিটির একজন মহামারী বিশেষজ্ঞ ক্যাটলিন রিভার্স।

ওয়াশিংটন পোস্ট

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন