স্কয়ার ফার্মার মুনাফা বাড়লেও কমেছে টেক্সটাইলের

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের ওষুধ খাতের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড গেল ২০১৯-২০ হিসাব বছরে ভালো ব্যবসা করেছে। এ সময়ে কোম্পানিটির মুনাফা বেড়েছে ১৪ শতাংশ। পাশপাশি ব্যবসা সম্প্রসারণে নতুন করে আড়াইশ কোটি টাকা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পর্ষদ। তবে করোনার  কারণে স্কয়ার টেক্সটাইল লিমিটেডের ব্যবসা ও মুনাফা দুটোই কমেছে। 

বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) ২০১৯-২০ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ও স্কয়ার টেক্সটাইলসের পর্ষদ। সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের বিক্রি হয়েছে ৫ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা। যেখানে এর আগের বছরের একই সময়ে বিক্রি হয়েছিল ৫ হাজার ৮৭ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির বিক্রি বেড়েছে ৪ শতাংশ। আর এ সময়ে কোম্পানিটির কর পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১ হাজার ৩৩৬ কোটি টাকা। যেখানে এর আগের হিসাব বছরে মুনাফা হয়েছিল ১ হাজার ১৭২ কোটি টাকা। ২০২৯-২০ হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৫ টাকা ৮২ পয়সা। যেখানে এর আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ১৪ টাকা ৯৮ পয়সা। ৩০ জুন ২০২০ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৯১ টাকা ৫৭ পয়সা। সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫২ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস। এরমধ্যে ৪৭ শতাংশ নগদ আর ৫ শতাংশ স্টক। কোম্পানিটির পর্ষদ বিএমআরই, মূলধনী যন্ত্রপাতি ও জমি বাবদ ২৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগের বিষয়টি অনুমোদন করেছে। ঘোষিত লভ্যাংশ ও অন্যান্য এজেন্ডা অনুমোদনের জন্য এ বছরের ১৫ ডিসেম্বর সকাল ১০ টায় ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে বাষির্ক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধালন করা হয়েছে ২২ নভেম্বর।

২০১৯-২০ হিসাব বছরে স্কয়ার টেক্সটাইলসের বিক্রি দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৫ কোটি টাকায়। যেখানে এর আগের হিসাব বছরে কোম্পানিটির বিক্রি হয়েছিল ১ হাজার ৫৬ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির বিক্রি কমেছে প্রায় ২ শতাংশ। অবশ্য বিক্রি কমার কারণে কোম্পানিটির কর পরবর্তী মুনাফা ২০১৯-২০ হিসাব বছর শেষে ৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। যেখানে এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ৪৩ কোটি টাকায়। এক বছরের ব্যবধানে মুনাফা কমেছে প্রায় ৮৮ শতাংশ। সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয়(ইপিএস) হয়েছে ২৭ পয়সা। যেখানে এর আগের বছরে ইপিএস ছিল ২ টাকা ১৮ পয়সা। ৩০ জুন ২০২০ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ২৯ পয়সা। সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ঘোষিত লভ্যাংশ ও অন্যান্য এজেন্ডায় শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য এ বছরের ১৫ ডিসেম্বর সকাল ১১ টায় ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২২ নভেম্বর। কোম্পানিটির পর্ষদ বিএমআরই বাবদ ৩০ কোটি টাকা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন