সাড়ে ১৫ হাজার কোটি রুপির জালিয়াতি

মামা-ভাগ্নে থেকে কোনো অর্থই আদায় করতে পারেনি পিএনবি

বণিক বার্তা ডেস্ক

প্রায় ১৫ হাজার ৪০০ কোটি রুপির জালিয়াতির ঘটনায় অভিযুক্ত পলাতক নীরব মোদি মেহুল  চোকসির কাছ থেকে এখনো এক পয়সাও উদ্ধার করতে পারেনি পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক (পিএনবি) মামলায় তদন্তকারী সংস্থা দি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি অভিযুক্তদের বেশকিছু সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করলেও তার মালিকানা দাবি করে আইনি পথ ধরেনি পিএনবি কর্তৃপক্ষ। খবর দ্য হিন্দু।

পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক দুর্নীতি সারা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। মোট ১৫ হাজার ৪০০ কোটি রুপির এই দুর্নীতিতে হীরা ব্যবসায়ী নীরব মোদি এবং তার মামা মেহুল চোকসির নাম সামনে আসে। বর্তমানে ফেরার এই মামা ভাগ্নের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত জালিয়াতির এক পয়সাও উদ্ধার করতে পারেনি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক।

পিএনবি দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত নীরব মোদি মেহুল চোকসির একাধিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। তার মধ্য থেকে মূল্যবান চিত্রকর্মসহ কিছু সম্পত্তি সম্প্রতি নিলামে তোলা হয়েছিল। ইডির শীর্ষ কর্তারা সম্প্রতি জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশ অনুসারে নিলাম থেকে পাওয়া ৬০ কোটি রুপি ফিক্সড ডিপোজিট করে দেয়া হয়। সেই সম্পত্তির ওপর নিজেদের দাবি জানাতে পিএনবিকে সংশ্লিষ্ট আদালতের দ্বারস্থ হতে হবে। এছাড়া মোদি চোকসি মামলায় অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনে মোট হাজার কোটি রুপির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। সেই সম্পত্তির মালিকানা চেয়েও আদালতে যাওয়ার পথ খোলা আছে ব্যাংকের কাছে। কিন্তু তারা এখনো তেমন পদক্ষেপ নেয়নি বলে জানা গেছে।

তথ্য অধিকার আইনের (আরটিআই) আওতায় এক প্রশ্নের জবাবে পিএনবি জানিয়েছে, মেহুল চোকসি নীরব মোদির কাছ থেকে তাদের প্রাপ্য যথাক্রমে হাজার কোটি রুপি এবং হাজার ৪০০ কোটি রুপি। এর মধ্যে ভুয়া নথি দিয়ে লেনদেনের মাধ্যমে নীরব মোদি ব্যাংকের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন হাজার ৬০০ কোটি রুপি এবং মেহুল চোকসি করেছেন হাজার ৪০০ কোটি রুপির প্রতারণা। মামা-ভাগ্নে মিলে ব্যাংকটির সঙ্গে ১৩ হাজার কোটি রুপির প্রতারণা করেছেন। এর সঙ্গে সুদ যুক্ত হয়ে মোট জালিয়াতির অংক দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি রুপি। সিবিআই মামলার তদন্তভার নেয়ার আগেই ২০১৮ সালে মোদি চোকসি দুজনেই দেশ ছেড়ে যান।

কয়েক মাস আগে আরটিআইয়ের আওতায় মোদি-চোকসিদের থেকে পুনরুদ্ধার অর্থসংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল পিএনবি। তথ্য প্রকাশ করলে তদন্ত এবং অপরাধীদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হতে পারে বলে ব্যাংকের তরফে যুক্তি দেয়া হয়েছিল।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন