খাদ্য বিতরণে সুশাসনের অভাব রয়েছে: খাদ্য সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক

খাদ্য উৎপাদনে বেশ সফলতা এসেছে। তবে খাদ্য বিতরণ ব্যবস্থাপনায় বেশ অব্যবস্থাপনা রয়েছে। এজন্য সুশাসনের অভাবই মূলত দায়ী। কৃষিপণ্যের উৎপাদন যথেষ্ট ভালো হলেও সরবরাহে সমস্যা, যথাযথ মনিটরিংয়ের অভাব এবং সর্বোপরি সুশাসনের ঘাটতি দেশের টেকসই খাদ্য ব্যবস্থার প্রধান চ্যালেঞ্জ। বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০২০ উপলক্ষে আয়োজিত টেকসই খাদ্য ব্যবস্থা: চ্যালেঞ্জ করণীয় শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।

খাদ্য অধিকার বাংলাদেশের আয়োজনে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্য সচিব . মোছাম্মাৎ নাজমানারা খানুম। খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ পিকেএসএফের চেয়ারম্যান . কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আরিফুর রহমান অপু বিশেষ অতিথি বিআইডিএসের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো . নাজনীন আহমেদ সম্মানীয় আলোচক ছিলেন। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী।

বক্তারা বলেন, কভিড-১৯ পরিস্থিতি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় (এসডিজি) ২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গড়ে তোলার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, তা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে যাচ্ছে।

খাদ্য সচিব বলেন, বাংলাদেশে আবাদযোগ্য জমির তুলনায় উৎপাদন যথেষ্ট ভালো হলেও সরবরাহ ব্যবস্থার সমস্যা রয়েছে। মনিটরিং দুর্বলতা সুশাসনের ঘাটতি রয়েছে। আবার শুধু চাল দিয়েই খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত হয় না। এর সঙ্গে থাকতে হবে মাছ, মাংস, ডিম, দুধ। উন্নয়ন মানে রাস্তা-ঘাট-ব্রিজ কালভার্টের কেবল উন্নয়ন নয়, উন্নয়ন মানে সামাজিক উন্নয়ন, জনস্বাস্থ্যোর উন্নয়ন আর মানবিক উন্নয়ন।

আরিফুর রহমান অপু বলেন, বিগত বছরের তুলনায় বছর সব ক্ষেত্রেই উৎপাদন বেড়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতি সঙ্গে পাঁচ দফার বন্যায় কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন