বিআইপির প্রতিবেদন

ঢাকার জনসংখ্যা ও জনঘনত্ব নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) উদ্যোগে গতকাল আয়োজিত ঢাকা শহরের জনঘনত্ব, বাসযোগ্যতা এবং উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত বিআইপির প্রতিবেদন প্রকাশ শীর্ষক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিআইপির সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ . আদিল মুহাম্মদ খান বলেছেন, ঢাকা শহরকে বাসযোগ্য করতে জনসংখ্যা জনঘনত্ব নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই।

. আদিল মুহাম্মদ খান অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের জনঘনত্বের একটি তুলনা চিত্র তুলে ধরেন। একটি বড় শহরের জনঘনত্বের জন্য মানদণ্ড ধরা হয় প্রতি একরে ৭০-৮০ জন, যা সর্বোচ্চ ১২০ জন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহর এলাকায় হতে পারে। জাপানের টোকিও শহরের কেন্দ্রীয় এলাকার ওয়ার্ডগুলোর জনঘনত্ব একরপ্রতি ৯০-এর নিচে, অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহরের সর্বোচ্চ জনঘনত্ব প্রতি একরে ৫৮ জন এবং উঁচু ভবনের শহরখ্যাত সিঙ্গাপুরেও পরিকল্পিত শহরের জনঘনত্ব প্রতি একরে ৮০ জনের নিচে।

. আদিল বলেন, ভারত এবং ইউরোপের অনেক বড় বড় শহরের তুলনায় ঢাকার লালবাগ, চকবাজারের জনঘনত্ব প্রতি একরে ৬০০-৭০০ জন, যা পৃথিবীর মধ্যে সর্বোচ্চ, অথচ সেখানে অবকাঠামো নাগরিক সুবিধাদি পরিকল্পনার সব মানদণ্ড সূচকে অত্যন্ত অপর্যাপ্ত। নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটনের জনঘনত্ব ১১২ এবং অন্যান্য এলাকার ঘনত্ব প্রতি একরে ৬০-এর নিচে, সেখানে বাংলাদেশ তুলনামূলক নিম্নভবনের শহর হিসেবে পরিচিত হয়েও ব্যক্তিগত মালিকানায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্লটে ভবন তৈরি করার কারণে জনঘনত্ব অধিক বেশি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন