দাম পুনর্নির্ধারণ

প্রতি কেজি আলু হিমাগারে ২৭ ও খুচরায় ৩৫ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রতি কেজি আলুর দাম হিমাগার পর্যায়ে ২৭ টাকা, পাইকারিতে ৩০ টাকা এবং খুচরায় ৩৫ টাকা পুনর্নির্ধারণ করেছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। গতকাল অধিদপ্তরের কার্যালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় দাম নির্ধারণে সুপারিশ করা হয়।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফের সভাপতিত্বে ওই সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট এবং কারওয়ান বাজার শ্যামবাজারের পাইকার আড়তদাররা অংশ নেন।

সভায় পুনর্নির্ধারিত মূল্যেই হিমাগার, পাইকারি এবং খুচরা পর্যায়ে যেন আলু বিক্রি হয় তা মনিটরিং নজরদারিতে সব জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করেছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। এর আগে অক্টোবর হিমাগার পর্যায়ে প্রতি কেজি আলু ২৩ টাকা, পাইকারি পর্যায়ে ২৫ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি ৩০ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংস্থাটি।

আলুর দাম বাড়িয়ে হিমাগার মালিকদের সঙ্গে আপোস করা হলো কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ বণিক বার্তাকে বলেন, হিমাগারে রাখা সিংহভাগ আলুই কৃষকের। কয়েক বছর ধরেই আলুচাষী ব্যবসায়ীরা পণ্যটির দাম পাননি। এবার বাড়তি চাহিদার কারণে দামে ঊর্ধ্বমুখিতা দেখা দিচ্ছে। তাই ভোক্তা কৃষকের স্বার্থ বিবেচনা করেই আগের নির্ধারিত দাম থেকে সরে আসা হয়েছে।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, মৌসুমে কেনা দাম, হিমাগার ভাড়া অন্যান্য খরচ মিলিয়ে প্রতি কেজি আলুর হিমাগার গেটে দাম পড়ে ১৮ টাকা ৯৯ পয়সা। সে হিসেবে হিমাগার থেকে ২০ টাকা দামে বিক্রি করলেও লাভবান হতে পারেন হিমাগার মালিকরা।

এদিকে গতকাল সচিবালয়ে কৃৃষিমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে আলুর দাম নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী . মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল কৃষক যাতে বছর ভালো দাম পান। কিন্তু দাম বাড়াতে গিয়ে এমন পরিস্থিতি হয়ে যাবে ভাবতে পারিনি। বছর আলুর ব্যবহার অনেক বেড়েছে। পুলিশ-র্যাব দিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। বাজার নির্ভর করে চাহিদা সরবরাহের ওপর। এজন্য আমরা দাম পুনর্বিবেচনা করছি। খুচরা পর্যায়ে আলুর দাম বাড়াতে হবে। আমাদের আলু চাষের এলাকা কমেছে, উৎপাদনও কম হয়েছে। এর মধ্যে কভিড মহামারী এল। আমাদের এবার লক্ষ্য ছিল আলুর দাম বাড়ানোর। কিন্তু দাম বাড়াতে গিয়ে এমন একটা বিপর্যয়কর অবস্থা হবে, সেটা চিন্তায় ছিল না। বিশেষ করে যারা নিম্ন আয়ের মানুষ, রিকশাওয়ালা-ভ্যানওয়ালা, শ্রমিক তাদের অনেক কষ্ট হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন