নভেল করোনাভাইরাসের নানা দিকের উন্মোচনে ব্যাপকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন গবেষকরা। মূলত এসব আবিষ্কারের লক্ষ্য হচ্ছে ভাইরাসের বিস্তৃতির গতিতে লাগাম টেনে ধরা এবং পুরোপুরিভাবে ভাইরাসটিকে নির্মূল করে স্বাভাবিক জীবনে মানুষকে ফিরিয়ে নেয়া। এরই মধ্যে নজিরবিহীন গতিতে লড়াইয়ে অনেকদূর এগিয়ে গেছেন বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞানী ও গবেষকরা। তেমনই এক গবেষণায় জানা গেছে, নির্দিষ্ট শহর বা নগরে সার্স-কোভ-২-এ সংক্রমিত মানুষের শরীরে ভাইরাসের পরিমাণ ব্যবহার করে, সেই অঞ্চলে মহামারী তার চূড়া পেরিয়ে গেছে কিনা তা জানা যাবে। যদিও এ গবেষণার অনুসন্ধানগুলোর পিআর রিভিউ এখনো সম্পন্ন হয়নি।
সার্স-কোভ-২-এর একটি সাধারণ টেস্টে ডাক্তাররা সংক্রমিত মানুষের শরীরে ‘ভাইরাল লোড’
পরিমাপ করেন। এটি মানুষের শরীরে ভাইরাসের পরিমাণের একটি নির্দেশক। বোস্টনের হার্ভার্ড টিএইচ চান স্কুল অব পাবলিক হেলথের গবেষক জেমস হে এবং তাদের সহকর্মীরা দেখিয়েছেন যে জনগণের মাঝে থাকা ‘ভাইরাল লোডের’
পরিমাণ সে অঞ্চলে ভাইরাসের বিস্তৃতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
মহামারীর শুরুর দিকে গড় সংক্রমিত ব্যক্তি সদ্য ভাইরাসের সংস্পর্শে এসেছে এবং যে কারণে তাদের ভাইরাল লোডও বেশি থাকে। আবার মহামারীর পরের দিকে গিয়ে, গড়ে সংক্রমিত ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে ভাইরাস রয়েছে এবং সেজন্য ভাইরাল লোডও কম হয়।
ফলে গবেষকরা মনে করছেন, জনসংখ্যার র্যান্ডম নমুনায় ভাইরাল লোড বিতরণের স্ন্যাপশট উন্মোচিত করতে পারে জনসংখ্যার মাঝে ভাইরাস বাড়ছে নাকি কমছে।
নেচার জার্নাল