নাসার সহায়তায় চাঁদে ফোরজি পৌঁছাবে নকিয়া!

বণিক বার্তা ডেস্ক

ফিনল্যান্ডভিত্তিক টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম নির্মাতা নকিয়া চাঁদে ফোরজি নেটওয়ার্ক পৌঁছাতে চায়। কাজে প্রতিষ্ঠানটি সহায়তা পাবে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার। অর্থাৎ যদি আপনার চাঁদে যাওয়ার সুযোগ হয়, তাহলে সেখানে অবস্থান করে ফেসবুকে পোস্ট দেয়া কিংবা টুইট করার সুযোগ পাবেন। একই সঙ্গে চাঁদে এমন সুবিধাপ্রাপ্তির জন্য নকিয়াকেও ধন্যবাদ জ্ঞাপনে ভুলবেন না।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, চাঁদে ফোরজি সেলুলার কমিউনিকেশনস নেটওয়ার্কের পরিচয় করাতে একটি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে নকিয়া। ফিনিশ প্রতিষ্ঠানটি বেশ আগে থেকেই চাঁদে সেলুলার যোগাযোগ সুবিধা স্থাপনের আগ্রহ প্রকাশ করে আসছে। এবার প্রতিষ্ঠানটির আগ্রহ বাস্তবে রূপ দিতে সহায়তার হাত বাড়িয়েছে নাসা। চাঁদে দ্রুতগতির সেলুলার সংযোগ সুবিধা পৌঁছাতে নকিয়াকে কোটি ৪১ লাখ ডলার বরাদ্দ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নাসা। অর্থ প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি উন্নয়নে পাবে প্রতিষ্ঠানটি।

চাঁদকে ঘিরে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহে প্রাণের অস্তিত্বের সন্ধানে নিরন্তর গবেষণা করে চলেছেন বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা। লক্ষ্য একটাই, ভবিষ্যতে চাঁদের বুকে মনুষ্য বসতি গড়ে তোলার সমস্ত সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা। চাঁদে মানুষের বসবাসের মতো পরিবেশ তৈরিতে আরো একটি বৃহৎ পদক্ষেপ নিল মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। চাঁদে ফোরজি যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের লক্ষ্য থেকে নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম নির্মাতা নকিয়ার সঙ্গে নাসার জোটবদ্ধ হওয়া। নকিয়ার গবেষণা বিভাগ বেল ল্যাবসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে নাসা। প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুসারে, নকিয়া চাঁদে শুরুতে ফোরজি নেটওয়ার্ক স্থাপন করবে। পরবর্তী সময়ে সেটিকে ফাইভজিতে পরিণত করা হবে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, মহাকাশ গবেষণা অনুসন্ধানে মোট ৩৭ কোটি ডলারের একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে নাসা। সেখান থেকেই কোটি ৪০ লাখ ডলার বরাদ্দ পেতে যাচ্ছে নকিয়া। অর্থ ব্যয়ে চাঁদে ফোরজি মোবাইল নেটওয়ার্ক গড়বে প্রতিষ্ঠানটি।

বিবৃতিতে নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়, চাঁদের পৃষ্ঠে ফোরজি যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক দূর পর্যন্ত এবং আরো দ্রুতগতিতে কাজ করবে। সাম্প্রতিক চন্দ্র অভিযানের জন্য মোট ১৪টি কোম্পানিকে নির্বাচিত করেছে নাসা। তার মধ্যে নকিয়া অন্যতম। গোটা প্রকল্প বাস্তবায়নে ৩৭ কোটি ডলার মূল্যের একটি যৌথ তহবিল গঠন করা হয়েছে। চলতি দশকের শেষের দিকে চাঁদে মানুষের বসবাসের মতো পরিবেশ তৈরি করতে চায় নাসা। ফোরজি নেটওয়ার্ক স্থাপনের উদ্যোগ তারই অংশ।

জানা যায়, নকিয়া ছাড়াও স্পেসএক্স, লকহিড মার্টিন, সিয়েরা নাভাডা, এসএসএল রোবোটিকস এবং ইউনাইটেড লঞ্চ অ্যালায়েন্সের (ইউএলএ) মতো কোম্পানিকে প্রকল্পের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।

নাসার অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জিম ব্রিডেস্টাইনকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা ইউপিআই জানিয়েছে, ২০২৮ সালের মধ্যে যদি নাসা তাদের মহাকাশচারীদের চাঁদে কর্মরত অবস্থায় দেখতে চায়, তবে তাদের দ্রুত নতুন প্রযুক্তি ডেভেলপ করতে হবে। চাঁদের পৃষ্ঠে দীর্ঘদিন টিকে থাকতে পারবে এমন শক্তিশালী প্রযুক্তির প্রয়োজন আছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

চাঁদে মোবাইল নেটওয়ার্ক স্থাপনের দায়িত্ব এর আগেও পেয়েছে নকিয়া। ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠানটি প্রথমবার চাঁদে এলটিই নেটওয়ার্ক লঞ্চ করার চেষ্টা করেছিল।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন