বাংলাদেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েনি —নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বিএনপিকে যুদ্ধাপরাধী, সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ ছেড়ে রাজনৈতিকভাবে ফ্রেশ হয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, করোনার মধ্যে সমগ্র পৃথিবীর অর্থনীতি স্থবির হয়ে গেলেও বাংলাদেশের অর্থনীতি যতটা বিপর্যস্ত হয়েছিল, ঠিক একইভাবে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েনি। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েনি।

গতকাল দিনাজপুরের বিরল উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষে বিভিন্ন পূজামণ্ডপে সরকারি অর্থ বিতরণকালে কথা বলেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ডা. জাফরউল্লাহ বলছেন মধ্যবর্তী নির্বাচন দিতে হবে। মধ্যবর্তী নির্বাচন কখন হয়, যখন একটি সরকার দেশ চালাতে পারে না তখন। বাংলাদেশের অর্থনীতি ঠিক আছে, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ঠিক আছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এখন বলছে মধ্যবর্তী নির্বাচনের কথা। আবার মির্জা ফখরুলের দাবি মধ্যবর্তী নির্বাচন না, ফ্রেশ নির্বাচন দিতে হবে। রাজনৈতিকভাবে আগে আপনারা ফ্রেশ হয়ে আসেন। তারপর আপানারা ফ্রেশ নির্বাচনের কথা বলেন। আপনারা রাজনৈতিকভাবে ফ্রেশ না। কারণ যুদ্ধাপরাধী, খুনী মাদক সম্রাটদের সঙ্গে আপনাদের এখনো আঁতাত রয়েছে। আপনারা সেই রাজনীতি এখনো চালিয়ে যাচ্ছেন।

রিজভী আহমেদকে বিএনপির আবাসিক প্রতিনিধি উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কথা বলতে বলতে অসুস্থ হয়ে এখন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তার পরও বলেন যে কথা বলতে দেয় না। মির্জা ফখরুল প্রতিদিন কথা বলেন, টকশোয় বিএনপি নেতারা প্রতিদিন কথা বলে। পার্লামেন্টে প্রতিনিয়ত কথা বলে। মিথ্যা কথা এত সুন্দরভাবে বলা যায়, এটা বিএনপির নেতাদের কথা না শুনলে বুঝা যায় না। এরা এর পরও বলে আমাদের কথা বলতে দেয় না। তারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে, আবার বলে বাংলাদেশে চিকিৎসা নেই।

করোনাকালে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের কথা তুলে ধরে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমি বলেছিলাম, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যখন শেখ হাসিনা, তখন আমাদের করোনা নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। তখন বাংলাদেশের অনেক সমালোচক সেই কথাটার সমালোচনা করেছিল। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। সেই কথাটা আমি এখনো বিশ্বাস করি। শেখ হাসিনা যখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশের মানুষ অনেক নিরাপদ।

তিনি বলেন, করোনা মহামারীর মধ্যেও ভারত যখন বলে, তারা বাংলাদেশের পাশে থাকতে চায়; যুক্তরাষ্ট্রের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী এসে বলে, আমরা বাংলাদেশকে পাশে পেতে চাই; চীনের রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বলে, আমরা বাংলাদেশের পাশে থাকতে চাইএসব দেশ আঞ্চলিক আন্তর্জাতিকভাবে পরাশক্তির ভূমিকায় আছে। তখন আমরা গর্ববোধ করি বাংলাদেশের জন্য। শেখ হাসিনার জন্য। তার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে এসব পরাশক্তিগুলো বাংলাদেশকে মর্যাদার চোখে দেখে। রকম একটি দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা গর্ববোধ করি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন