পদ্মায় বসল ৩৩তম স্প্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক

গত ১১ অক্টোবর ৩২ নম্বর স্প্যান বসানো হয়েছিল নির্মাণাধীন পদ্মা বহুমুখী সেতুতে। এর এক সপ্তাহ পর বসে গেল ৩৩ নম্বর স্প্যানও। গতকাল সকালে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে নম্বর পিয়ারের ওপর স্প্যানটি বসানো হয়। এর মধ্য দিয়ে পাঁচ কিলোমিটার ( দশমিক ৯৫) এলাকাজুড়ে দৃশ্যমান হলো পদ্মা সেতু। বাকি থাকল আটটি স্প্যান।

সেতু বিভাগের প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, ২৫ অক্টোবর আরেকটি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। একইভাবে পর্যায়ক্রমে ৩০ অক্টোবর, নভেম্বর, ১১ নভেম্বর, ১৬ নভেম্বর, ২৩ নভেম্বর, ডিসেম্বর ১০ ডিসেম্বর বাকি স্প্যানগুলো স্থাপন হতে পারে।

২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ৩৮ নম্বর পিয়ারে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। দ্বিতলবিশিষ্ট পদ্মা সেতুতে মোট ৪২টি পিয়ার হচ্ছে। এর মধ্যে ৪০টি নদীর ভেতর দুই পাড়ে দুটি। এসব পিয়ারের ওপর ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের মোট ৪১টি স্প্যান বসানো হচ্ছে। স্প্যানের অংশগুলো চীনে তৈরি হয়েছে। জাহাজে করে বাংলাদেশে আনার পর সেগুলো জোড়া লাগানো হয়েছে মাওয়ার কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে। স্প্যানগুলো নিয়ে গঠিত হবে সেতুর নিচতলা, যার মধ্য দিয়ে ট্রেন চলবে। ওপরের তলায় কংক্রিটের স্ল্যাবের ওপর চলবে মোটরযান।

প্রসঙ্গত, ২০০৭ থেকে ২০১৫ মেয়াদে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অনুমোদন হয়েছিল পদ্মা সেতু প্রকল্প। প্রাক্কলিত নির্মাণব্যয় ছিল ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকা। ২০১১ সালে প্রথমবার প্রকল্পটি  সংশোধন করা হয়। নকশা পরিবর্তন করে দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি, রেললাইন সংযোজনসহ আনুষঙ্গিক কাজ বাড়িয়ে নির্মাণব্যয় প্রাক্কলন করা হয় ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। মেয়াদ অপরিবর্তিত রাখা হয়।

সেতু বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পের অগ্রগতি ৯০ শতাংশের কাছাকাছি চলে এসেছে। আগামী বছরের ডিসেম্বর নাগাদ সেতুটি চালু হওয়ার কথা রয়েছে।

পদ্মা সেতু যেদিন চালু হবে, সেদিন থেকেই সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেন চালানোর লক্ষ্য সরকারের। এজন্য ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ রেললাইন নির্মিত হচ্ছে আরেকটি প্রকল্পে। এতে ব্যয় হচ্ছে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা। নকশায় নতুন জটিলতা প্রকল্পটির ব্যয় আরো বাড়িয়ে দেয়ার পরিস্থিতি তৈরি করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন