সিলেটে পুলিশ ফাঁড়িতে যুবক খুন

আদালতে জবানবন্দি দিলেন তিন পুলিশ সদস্য

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, সিলেট

সিলেট মহানগরের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান আহমদের মৃত্যুর ঘটনায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন তিন পুলিশ সদস্য। গতকাল সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর আদালতের বিচারক মো. জিহাদুুর রহমানের আদালতে পুলিশ কনস্টেবল দেলোয়ার, সাইদুর শামীম জবানবন্দি দেন।

তিনজনই সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে কর্মরত রয়েছেন। ফাঁড়িতেই গত অক্টোবর ভোরে রায়হান আহমদকে ধরে এনে নির্যাতন চালানো হয়। সেদিনের নির্যাতনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে তিন কনস্টেবল আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক মহিদুল ইসলাম তিন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের তথ্য নিশ্চিত করলেও তারা আদালতে কি বলেছেন এবং কারো নাম বলেছেন কিনা ব্যাপারে কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

জানা গেছে, গতকাল বেলা ৩টা থেকে মো. জিহাদুুর রহমানের আদালতে বন্দর ফাঁড়ির তিন পুলিশ কনস্টেবলকে হাজির করে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে তাদের আদালতে তোলা হয়। বিকালে তারা রায়হান হত্যা মামলার সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি প্রদান শুরু করেন।

উল্লেখ্য, ১১ অক্টোবর ভোরে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনের শিকার হন রায়হান আহমদ (৩৪) নামের এক যুবক। পরে ওইদিন সকালে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে তিনি মারা যান। রায়হান সিলেট নগরীর আখালিয়ার নেহারিপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি নগরীর রিকাবিবাজার স্টেডিয়াম মার্কেটে এক চিকিৎসকের চেম্বারে কাজ করতেন।

ঘটনায় ১২ অক্টোবর রাতে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হেফাজতে মৃত্যু আইনে সিলেট কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন রায়হানের স্ত্রী।

এরপর পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে রায়হানকে ফাঁড়িতে এনে নির্যাতনের প্রাথমিক প্রমাণ পায় কমিটি। তদন্ত কমিটির সুপারিশে বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, তৌহিদ মিয়া টিটু চন্দ্র দাসকে সাময়িক বরখাস্ত এবং এএসআই আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী কনস্টেবল সজিব হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়। তবে ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। রায়হানকে নির্যাতনের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত এসআই আকবর পলাতক রয়েছেন বলে দাবি পুলিশের।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন