‘টেস্ট অ্যান্ড ট্রেস’-এ ধরা পড়েনি আড়াই লাখ সংক্রমণ

বণিক বার্তা ডেস্ক

ইংল্যান্ড সরকারের টেস্ট অ্যান্ড ট্রেস সিস্টেম নভেল করোনাভাইরাসের পরীক্ষায় পজিটিভ এসেছে এমন প্রায় আড়াই লাখ ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে। সাম্প্রতিক এক বিশ্লেষণের পর সামনে এসেছে তথ্য।

জানা গেছে, বেসরকারি ফার্ম সারকো অ্যান্ড সিটেল ইংল্যান্ডে অনলাইন এবং কল সেন্টার উভয় পর্যায়েই লাখ ৪৫ হাজার ৪৮২টি যোগাযোগ শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, চার মাস ধরে তারা প্রায় ৪০ শতাংশ যোগাযোগ ধরতে পারেনি।

এদিকে সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইজরি গ্রুপ ফর ইমার্জেন্সি (এসএজিই) সতর্ক করে বলেছে, সিস্টেমের অন্তত সব যোগাযোগের ৮০ শতাংশকে ফোন করা উচিত এবং তাদের সেলফ-আইসোলেট হওয়ার বিষয়টিও নিশ্চিত করা জরুরি।

স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে প্রকাশিত পরিসংখ্যান বলছে, টেস্ট অ্যান্ড ট্রেস এরই মধ্যে ধসে পড়ার পথে রয়েছে। পাশাপাশি এটি দেখাচ্ছে যে বিষয়টি ঠিক করার জন্য সরকারের উচিত স্বল্পমেয়াদি লকডাউনে যাওয়া।

বিষয়ে এনএইচএস প্রভাইডারসের প্রধান নির্বাহী সাফরোন কোরডেরি বলেছেন, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে আমাদের টেস্ট অ্যান্ড ট্রেস সিস্টেম ঠিক হওয়ার আগে আমাদের আরো অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে।

তবে সরকারের পক্ষ থেকে সিস্টেমের সমর্থনে বলা হয়, টেস্ট অ্যান্ড ট্রেস হচ্ছে ট্রান্সমিশনের ব্রেকিং চেইন এবং এটি লাখ লোককে আইসোলেট হতে বলেছিল। এর আগে মে মাসে বরিস জনসন সিস্টেম নিয়ে বলেছিলেন, এটি অন্য যে কারো চেয়ে ভালো হবে। সিস্টেমের পেছনে খরচ হয়েছে ১২ বিলিয়ন পাউন্ড। তিনি সে সময় আরো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে জুনের শেষে গিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার ফল জানা যাবে। যদিও সে প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি।

ডেইলি মেইল

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন