যেসব ফেসবুক পোস্টে রিপোর্ট করবেন...

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহারের সময় আমরা প্রত্যেকেই অনেক পোস্টের সম্মুখীনই হই, যেগুলো রিপোর্ট করা নিয়ে আমরা দ্বন্দ্বে পড়ে যাই। অনেক সময় আমরা ধরনের পোস্ট শেয়ার করি এবং কমেন্ট করি। কিন্তু যার প্রভাব সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণা নেই। অনেক সময় কিছু পোস্ট শেয়ার করা ঠিক হবে কিনা, তা নিয়েও দ্বিধাগ্রস্ত হই। অনাকাঙ্ক্ষিত ১০ ধরনের পোস্ট বা কনটেন্ট কোনো ফেসবুক গ্রুপ, পেজ, কমেন্ট, প্রোফাইল, এমনকি মেসেঞ্জারে বার্তা হিসেবে পেলে নির্দ্বিধায় সেগুলোর বিষয়ে রিপোর্ট করা যায়। এসব পোস্ট বা কনটেন্ট নিয়ে আজকের আয়োজন

নির্দিষ্ট কোনো মতবাদ বা ব্যক্তি সত্তাকে অসম্মান করা হলে: ফেসবুকে যদি কোনো পোস্টে নির্দিষ্ট মতবাদ, লিঙ্গ, জাতি বা ধর্মীয় অনুভূতিতে সরাসরি আঘাত করা হয়, তবে সে পোস্ট এবং যে ব্যক্তি পোস্ট শেয়ার করেছে, তাকেও রিপোর্ট করা যেতে পারে। জাতি, মতবাদ ধর্মীয় বিশ্বাস প্রত্যেকের নিজস্ব বিষয় এবং এগুলোর ভিত্তিতে কাউকে বিবেচনা করার অধিকার কারো নেই।

অশালীন আপত্তিকর ছবি থাকলে: ফেসবুকে যেসব কনটেন্ট যৌন নির্যাতন বা জাতিগত সহিংসতা উস্কে দেয়, অবিলম্বে সেসব পোস্ট বিষয়ে রিপোর্ট করতে হবে। কারণ অন্য পোস্টের চেয়ে পোস্টগুলো বেশি শেয়ার হয় এবং ব্যবহারকারীরা পোস্টগুলো বিশ্বাস করে। তাই ধরনের পোস্টগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে যত দ্রুত সম্ভব রিপোর্ট করতে হবে।

হিংস্রতা অসহিষ্ণুতা প্রকাশ পেলে: ফেসবুকে অনেক পোস্টে হিংস্রতা বা অসহিষ্ণুতা প্রকাশ পায়, যা অন্যের অনুভূতিতে আঘাত করে। ধরনের পোস্টের বিষয়ে রিপোর্ট করতে হবে। পোস্ট বা জিআইএফগুলো যখন কোনো ব্যক্তিকে কটাক্ষ করে করা হয়, সেখান থেকে পারস্পরিক বা জাতিগত সংঘর্ষ হতে পারে।

ব্যক্তিগত তথ্যে অ্যাক্সেস করার চেষ্টা করলে: ফেসবুক অ্যাকাউন্টে যে তথ্যগুলো শেয়ার করা হয় যেমন ছবি, স্ট্যাটাস, চেক-ইনস, যোগাযোগের বিবরণ, কর্মস্থলের ঠিকানা ইত্যাদি সম্পর্কে সতর্ক থাকুন। এসব তথ্য দেয়ার ক্ষেত্রে ফেসবুকের প্রাইভেসি সিকিউরিটি টুলস ব্যবহার করুন। নইলে প্রতারক চক্র ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে, যা নিজের এবং ফেসবুক কমিউনিটির জন্য ক্ষতিকর।

কোনো পোস্ট আপনার অনুমতি ছাড়া শেয়ার করা হলে: ফেসবুকে অনুমতি না নিয়ে কেউ আপনার কোনো পোস্ট বা ছবি শেয়ার করলে তার বিরুদ্ধে রিপোর্ট করুন। কারণ ধরনের কর্মকাণ্ড আপনার গোপনীয়তা নষ্ট করে।

ভুয়া খবর: ফেসবুকে এখন নানা ধরনের ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়ছে। প্লাটফর্মটির ব্যবহারকারীরা খবরগুলোর সত্যতা না জেনেই শেয়ার দিচ্ছেন। স্প্যাম আছে এমন পোস্টগুলো সম্পর্কে সতর্ক থাকুন বা যিনি পোস্টটি শেয়ার করেছেন, অ্যাকাউন্টটি ফেক কিনা তা লক্ষ্য করুন এবং প্রয়োজনে শেয়ারকারীর বিরুদ্ধে রিপোর্ট করতে হবে।

পোস্টে সহিংসতামূলক ছবি বা ভিডিও থাকলে: ফেসবুকে কোনো ভিডিও, ছবি বা গ্রাফিক্স পোস্ট সহিংসতা বা অন্যের দুর্ভোগ অপমান সমর্থন করলে অবিলম্বে সে পোস্টের বিষয়ে রিপোর্ট করুন। এতে পারস্পরিক সহিংসতা ঠেকানো যাবে।

অপরাধমূলক কাজের প্রচার: ফেসবুকে কোনো পোস্টে সহিংসতামূলক অপরাধ, চুরি, জালিয়াতি বা কোনো অপরাধের বর্ণনা থাকলে সে পোস্টের বিষয়ে সঙ্গে সঙ্গে রিপোর্ট করতে হবে।

অন্যের ক্ষতি করতে উৎসাহিত করলে: ফেসবুকে কোনো পোস্টে অপরাধমূলক কাজে উসকানি দেয়া হলে তা মানুষ, সমাজ, ব্যবসা বা প্রাণীর ক্ষতি করতে পারে। কাজেই ধরনের পোস্ট দৃষ্টিগোচর হলে রিপোর্ট করা নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।

আত্মহত্যা সমর্থন করে পোস্ট: ফেসবুকে কোনো পোস্ট হুমকিস্বরূপ হলে কিংবা আত্মহত্যায় প্ররোচিত করলে দ্রুত স্থানীয় ইমার্জেন্সি সার্ভিসে যোগাযোগ করতে হবে। আর তা সম্ভব না হলে পোস্টটি বিষয়ে রিপোর্ট করতে হবে। ফেসবুক স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য পৌঁছে দেবে, যা তাদের সাহায্য করতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন