বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অর্থ চুরি

অর্থ উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত পূর্ণ সহযোগিতার নিশ্চয়তা ফিলিপাইনের

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত ফিলিপাইনের সহযোগিতা চায় ঢাকা। আর বিষয়ে পূর্ণ সহযোগিতার নিশ্চয়তা দিয়েছে দেশটি। গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী . কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে যান ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত ভাইসন্টি ভিভেনকিও টি. বানডিলোর। সময় তাদের মধ্যে নিয়ে আলাপ হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়।

এতে জানানো হয়, গতকাল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী . কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত ভাইসন্টি ভিভেনকিও টি. বানডিলো। তিনি ঢাকায় সাড়ে ছয় বছর রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেছেন। তাকে বদলি করে মন্ত্রণালয়ে নিয়ে গেছে ফিলিপাইন সরকার। বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের ঐচ্ছিক টেকসই প্রত্যাবাসনে ফিলিপাইনের সহযোগিতা চান। সেই সঙ্গে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে চুরি হওয়া অর্থ উদ্ধারেও সহযোগিতা চান। বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী চুরি যাওয়া ৮১ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে ১৫ মিলিয়ন উদ্ধারে সহযোগিতা করার জন্য ফিলিপাইন সরকারের প্রতি ধন্যবাদ জানান। সেই সঙ্গে বাকি অর্থ উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত ফিলিপিনো সরকার সহযোগিতা অব্যাহত রাখবেন বলে আশা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সময়ে অর্থ উদ্ধারে বাংলাদেশ ব্যাংককে পূর্ণ সহযোগিতার নিশ্চয়তা দিয়েছেন রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, ফিলিপাইন সরকার অর্থ পাচার রোধে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। অর্থ পাচার ফিলিপাইনে একটি জাতীয় সমস্যা।

বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমারের সঙ্গে ফিলিপাইনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সহযোগিতার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু এখনই সমাধান না হলে সন্ত্রাসবাদীরা এসব বাস্তুচ্যুতকে সুযোগে ব্যবহার করতে পারে, যা আঞ্চলিক আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে পারে। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে আশিয়ান সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সঙ্গে নিয়ে মিয়ানমারের ওপর রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

বৈঠকে ফিলিপাইনের নার্সিং, মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং নাবিক সেবা খাত বিশ্বে অন্যতম বলে অ্যাখ্যা দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। দুই দেশের মধ্যে নার্সিং শিক্ষা নিয়ে ঝুলে থাকা সমঝোতা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সই করার জন্য আগ্রহের কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই সঙ্গে দুই দেশের মধ্যে শিক্ষার্থী নার্সদের বিনিময় চালু করার আগ্রহের কথাও জানান তিনি। সমঝোতা স্বাক্ষরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার কথা নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রদূত। এছাড়া বাংলাদেশে কৃষি প্রক্রিয়া খাতে ফিলিপাইনের বিনিয়োগের বিশাল সুযোগ রয়েছে। ফিলিপাইনের জলিবি পটেটো কর্নার বাংলাদেশে আউটলেট খুলতে পারে বলে রাষ্ট্রদূতের কাছে মত দেন . কে আব্দুল মোমেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন