মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, জাতির পিতা ও রাষ্ট্রপতির সন্তান হয়েও শেখ রাসেল সহপাঠী ও অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করে বেড়াত। ৩২ নম্বরসহ ধানমন্ডির রাস্তায় বন্ধুদের সঙ্গে সাইকেল চালিয়ে বেড়াত ও ক্রিকেট খেলত। ছোটবেলায় সবার মন জয় করেছিল সে। আর এ নিষ্পাপ শিশুকে ১৫ আগস্ট খুনিরা ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করে।
বিশ্বের অনেক দেশে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। কিন্তু কোথাও ঘাতকরা এ রকম নিষ্পাপ শিশু, গর্ভবতী মা ও নারীদের হত্যা করেনি। যারা এ দেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, সেই পরাজিত ঘাতকরা এ জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছিল। মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি, নারী-শিশু নির্যাতনকারী ও ’৭৫-এ খুনিদের সাহায্যে ক্ষমতায় এসে জিয়াউর রহমান এ দেশে নারী ও শিশুদের বীজ বপন করেছিল।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, সবাইকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতনকারী এবং ধর্ষকদের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সবার প্রতি আমার এ আহ্বান, একটা শিশুও যেন নির্যাতনের শিকার না হয়।
তিনি এ সময় বলেন, সরকার শিশুদের জন্য উন্নত ও জীবন নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করতে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ হবে শিশুদের নিরাপদ আবাসস্থল।
ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা গতকাল ঢাকায় শিশু একাডেমি মিলনায়তনে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শিশুদের ছড়া আবৃত্তি, স্বরচিত কবিতা পাঠ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব ফরিদা পারভীন, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক জ্যোতি লাল কুরী, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পারভীন আকতার, অতিরিক্ত সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদ ও যুগ্ম সচিব মো মুহিবুজ্জামানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
লাকী ইনাম বলেন, শেখ রাসেল আমাদের শুিশুদের ভালোবাসতে শেখায়। আমাদের সবার দায়িত্ব শিশুদের জন্য নিরাপদ পৃথিবী গড়ে তোলা।
এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ ১০টি জেলা থেকে ১১ জন প্রশিক্ষণার্থী আবৃত্তি, কবিতা ও স্বরচিত কবিতা পাঠের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। এর আগে গতকাল সকালে বনানী কবরস্থানে শেখ রাসেলের সমাধিতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।