নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাঁচ মাসের মধ্যে মৃত্যুর এ সংখ্যা সর্বনিম্ন। এ সময়ে নতুন শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৭৪ জন। গতকাল বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা পরিস্থিতিবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে দেশের ১১০টি পরীক্ষাগারের তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, গতকাল সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৪ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ৬৬০-এ দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে ১২ হাজার ১৮৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্ত ১ হাজার ২৭৪ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৫৬৯। এ পর্যন্ত ২১ লাখ ৬৩ হাজার ৫৬৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। গত একদিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরো ১ হাজার ৬৭৪ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৩ লাখ ৩ হাজার ৯৭২-এ দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে গত ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ১০ অক্টোবর তা সাড়ে পাঁচ হাজারে দাঁড়ায়। এর মধ্যে ৩০ জুন একদিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা একদিনে সর্বোচ্চ। গতকাল ১৪ জনের মৃত্যু হওয়ায় পাঁচ মাসের মধ্যে দৈনিক হিসেবে এটাই সর্বনিম্ন মৃত্যু। এর আগে গত ২৮ মে দেশে ১৫ জন ও ১৭ মে ১৪ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৭৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৮ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে দুজন নারী এবং ১২ জন পুরুষ। তারা সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে ১০ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, তিনজনের ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং একজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছর। তাদের মধ্যে ছয়জন ঢাকার, দুজন করে রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের, একজন করে চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট ও ময়মনসিংহের বাসিন্দা।