সেপ্টেম্বরে ভারতের পাম অয়েল আমদানি কমেছে ২৭ শতাংশ

বণিক বার্তা ডেস্ক

সেপ্টেম্বরে ভারতে পাম অয়েলের আমদানি এক বছর আগের তুলনায় কমেছে ২৭ শতাংশ, যা তিন মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। মূলত হোটেল রেস্টুরেন্টগুলোতে চাহিদা কমে যাওয়ার কারণেই ভারতে পাম অয়েল আমদানি এতটা কমেছে। তবে ভারতে পাম অয়েল আমদানি কমলেও একই সময়ে বেড়েছে সয়াবিন তেলের আমদানি। দেশজুড়ে চাহিদা বৃদ্ধির কারণে গত মাসে দেশটিতে ২৮ শতাংশ বেশি সয়াবিন তেল আমদানি করা হয়েছে। শীর্ষ এক বাণিজ্য সংস্থা গত শুক্রবার এমন তথ্য দিয়েছে। খবর রয়টার্স

সলভেন্ট এক্সট্রাক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (এসইএ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরে মোট লাখ ৪৩ হাজার ৯৯৪ টন পাম অয়েল আমদানি করেছে ভারত, যেখানে গত বছরের একই সময়ে আমদানির পরিমাণ ছিল লাখ ৭৯ হাজার ৯৪৭ টন। মাসে লাখ ১৬ হাজার ২৩২ টন সয়াবিন তেল আমদানি করেছে ভারত। তবে সূর্যমুখী তেল আমদানি এক বছর আগের তুলনায় কমেছে ৪৭ শতাংশ। গত মাসে দেশটি ৬৬ হাজার ৭৮৩ টন সূর্যমুখী তেল আমদানি করে।

বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ভোজ্যতেল আমদানিকারক দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত। দেশটি পাম অয়েল কম আমদানি করায় এখন এটি মালয়েশিয়ার বাজারে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ ইন্দোনেশিয়ার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাম অয়েল রফতানিকারক মালয়েশিয়া। একই সঙ্গে দেশটির পাম অয়েলের অন্যতম গন্তব্যও ভারত। ফলে দেশটির বাজারে রফতানি কমে গেলেই সেটি মালয়েশিয়ার বাণিজ্যে বিরাট প্রভাব ফেলে। অন্যদিকে বেশি পরিমাণে সয়াবিন তেল আমদানি করায় এটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য লাভ। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের সয়াবিন তেলের অন্যতম বাজার ভারতও।

উল্লেখ্য, মালয়েশিয়া ইন্দোনেশিয়া থেকে পাম অয়েল আমদানি করে ভারত। আর সূর্যমুখী তেল, সয়াবিন তেল আমদানি করে আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, ইউক্রেন রাশিয়া থেকে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন