দুই দেশের অংশগ্রহণে স্মারক অনুষ্ঠান নির্মাণের প্রস্তাব ভারতীয় হাইকমিশনারের

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে দুই দেশের অংশগ্রহণের স্মারক অনুষ্ঠান নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার।

হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী আজ রোববার দুপুরে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদের সঙ্গে তার সচিবালয়স্থ কার্যালয়ে সৌজন্যসাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে তিনি এ প্রস্তাব দেন।

ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী যেভাবে অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন, একইভাবে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও আজীবন অহিংস ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে অনবদ্য ভূমিকা রাখেন। বঙ্গবন্ধু মহান ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতিটি ধাপে তথা ঊনসত্তরের গণআন্দোলন, সত্তরের নির্বাচন, এমনকি ৭ মার্চের ভাষণেও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছিলেন।

বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে এ দুই মহান নেতার অহিংস ও শান্তিপূর্ণ মতবাদ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে দুই দেশের অংশগ্রহণে স্মারক অনুষ্ঠান নির্মাণের প্রস্তাব করেন।

সাহিত্য, সঙ্গীত, নৃত্য, চিত্রকলাসহ সংস্কৃতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে দু’দেশের অভিন্ন অংশীদারিত্ব রয়েছে উল্লেখ করে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, এসব বিষয়ে দু’দেশের শিল্পীদের অংশগ্রহণে আর্টক্যাম্প অনুষ্ঠিত হতে পারে, যার মাধ্যমে শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির সংশ্লিষ্ট শাখায় নতুন সৃজনশীল ও অনুপম কর্ম সৃষ্টি হতে পারে। 

সাক্ষাৎকালে বন্ধুপ্রতিম দু’দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর অহিংস ও শান্তিপূর্ণ নীতি সম্পর্কে প্রচার, জাদুঘরসহ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনাসমূহ সংরক্ষণে ভারতের কারিগরী সহায়তা কামনা এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাসহ দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। 

এসময় প্রতিমন্ত্রী পানাম সিটি সংরক্ষণের বিষয়ে ভারতের বিশিষ্ট প্রত্নতত্ত্ববিদ মনীষ চক্রবর্তীর বাংলাদেশ সফরের বিষয়টি হাইকমিশনারকে অবহিত করেন এবং এ কার্যক্রমকে দ্রুত এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান।

বৈঠকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. বদরুল আরেফীন, অতিরিক্ত সচিব (সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য) সাবিহা পারভীন অংশগ্রহণ করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন