২০৩১ সালের মধ্যে উৎপাদনশীলতা প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ৫.৬%

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের সব খাতের উৎপাদনশীলতা প্রবৃদ্ধি বর্তমান ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০৩১ সালের মধ্যে  এই হার ৫ দশমিক ৬ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। 

আজ রোববার জাতীয় উৎপাদনশীলতা পরিষদের (এনপিসি) ১৫তম সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ভিডিও কনফারেন্সে অনুষ্ঠিত এই সভায় শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন সভাপতিত্ব করেন। সভায় সহ-সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। 

সভায় নবম-দশম শ্রেণীর আত্মকর্মসংস্থান ও ব্যবসায় উদ্যোগ পাঠ্যপুস্তকে ‘উৎপাদনশীলতার ধারণা ও আধুনিকায়ন’ অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে পাণ্ডুলিপি প্রকাশের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া 

খাতভিত্তিক উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞদের মাধ্যম বিভিন্ন খাতের চাহিদা নিরূপণ এবং চাহিদার আলোকে অ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়ন করা হবে বলেও সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সভাপতির বক্তৃতায় শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কৃষি, শিল্পসহ সবখাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়নে শিল্প মন্ত্রণালয় ২০৩০ সাল নাগাদ জাতীয় পর্যায়ে উৎপাদনশীলতা ৫ দশমিক ৬ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এক্ষেত্রে শিল্প মন্ত্রণালয় অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাসহ সরকারের অন্যান্য উন্নয়ন দলিল বিবেচনা করে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির কৌশল হাতে নিয়েছে। 

সভায় শিল্পসচিব কেএম আলী আজম জানান, ২০৩১ সালের উৎপাদনশীলতা প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৫ দশমিক ৬ শতাংশ অর্জনে স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। 

সভায় বিদ্যুৎ সচিব ড. সুলতান আহমেদ, শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব কেএম আব্দুস সালাম, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. লুৎফুল হাসান, এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম, পরিকল্পনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মোশাররফ হোসেন, বেপজার জিএম তানভীর হোসেন, এফবিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, ইউএমসিএইচের চেয়ারম্যান প্রীতি চক্রবর্তী প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন