স্বাস্থ্য খাতের মান বেড়েছে বলেই মানুষ সাহস পাচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

নভেল করোনাভাইরাস বাংলাদেশে ‘তেমন একটা ক্ষতি করতে পারেনি’ মন্তব্য করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘স্বাস্থ্য খাতের মান বেড়েছে বলেই মানুষের সাহস বেড়েছে।’

আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর ইন্টার কন্টিনেন্টাল হোটেলে ‘সোসাইটি অব সার্জন, বাংলাদেশ’ আয়োজিত ‘কভিড-১৯ দুর্যোগে সার্জনদের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সম্মেলনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘ইউরোপ-আমেরিকার সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়- বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর হার কম। আমরা বুঝতে পারি আমাদের অবস্থান কেমন। আমাদের চিকিৎসা সেবা নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করছেন। তারা নিরাপদে ঘরে বসে থেকে এসব সমালোচনা করছেন। আমরা কিন্তু মানুষের পাশে ছিলাম। ডাক্তাররা ছিলেন, পুলিশ, সেনাবাহিনী সকলেই ছিলেন।’ 

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রথমে একটু সমস্যা হয়েছিল। কারণ বিষয়টা আমাদের কাছে নতুন ছিল। আমার দ্রুত শিখেছি এবং মোকাবেলা করেছি। এসবের কারণে আমাদের মৃত্যুর হার কম।’

অর্থনীতি সচল রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমার অর্থনীতি করোনার সময়েও সচল রয়েছে। এখন বাংলাদেশ ব্যাংকে যে রির্জাভ আছে তা পূর্বে কখনওই ছিল না। করোনা আমাদের রুখে দিতে পারেনি।’ 

করোনা ভ্যাকসিনে বিষয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘ভ্যাকসিনের প্রয়োজন রয়েছে। আমরা আশা করি একটা ভালো ভ্যাকসিন তৈরি হবে। যারা ভ্যাকসিন বানানোর জন্য চেষ্টা করছে আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আমরা যেন দ্রুতই ভ্যাকসিন পাই তার জন্য চেষ্টা করছি। বাজেট রেখেছি। তবে ভ্যাকসিন আনার ক্ষেত্রে আমাদের পরিবেশ, আবহাওয়া বিবেচনা করতে হবে। এখন মানুষ পরীক্ষা কম করাচ্ছে। ডেকেও পরীক্ষা করানো যাচ্ছে না। মানুষে সাহস বেড়েছে। তারা দেখছে স্বাস্থ্যসেবার মান আগের চেয়ে অনেক উন্নত।’

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাচিব সভাপতি অধ্যাপক এম ইকবাল আর্সলান, বিএমএ সাধারণ সম্পাদক ডা মো. এহতেশামুল হক চৌধুরী, স্বাচিপ সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা এম এ আজিজ এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল’র সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মাদ শহিদুল্লাহ।

চিকিৎসক নেতারা তাদের বক্তব্যে, স্বাস্থ্যখাতের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে আমলাদের সমালোচনা করেন। আমলাতন্ত্রিকতার কারণে স্বাস্থ্যসেবার মান ব্যাহত হচ্ছে বলে তার অভিযোগ করেন। তারা বলেন, আমলাদের কাজ রাজনৈতিক সরকারের নির্দেশ বাস্তবায়ন করা। কিন্তু তারা মালিকের মতো ব্যবহার করছেন। তারা স্বাস্থ্যের বিভিন্ন বিষয়ে খবরদারি করছেন। এতে স্বাস্থ্যের মান ঠিক থাকছে না। ফলে চিকিৎসকরা গ্লানিতে ভুগছেন। এমন চলতে থাকলে তারা কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে অধিকার আদায়ে মাঠে নামবেন বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন