চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী নিহত

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ঠাকুরপুর সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে বিএসএফের ছোঁড়া গুলিতে এক বাংলাদেশী যুবক নিহত হয়েছেন। নিহত যুবক ওমিদুল (১৯) উপজেলার ঠাকুরপুর গ্রামের শফিকুল ইসলাম শহীদের ছেলে।

চুয়াডাঙ্গা- ৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান পিএসসি জানান, রবিবার ভোরের দিকে বিজিবির একটি টহল দলের সদস্যরা চুয়াডাঙ্গার ঠাকুরপুর সীমান্তের ৮৯ নম্বর মেইন খুঁটির কাছে গুলির শব্দ শুনতে পেয়ে তাদের টহল আরো জোরদার করে। এরপর এদিন সকালে ওই সীমান্ত খুঁটির কাছে বিজিবি সদস্যরা ভারতের মালুয়াপাড়া বিএসএফ ক্যাম্প কমান্ডেন্টের গাড়িসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স দেখতে পায়। তার কিছুক্ষণপর বিএসএফ সদস্যরা ভারতের অভ্যন্তর থেকে মোবাইল ফোনে গুলিতে নিহত যুবকের ছবি তুলে সেটা বিজিবির কাছে পাঠায়। ওই ছবি ঠাকুরপুর গ্রামের লোকজনকে দেখালে নিহত ওমিদুলের বাবা নিহতকে তার ছেলে বলে শনাক্ত করেন।

এই বিজিবি কর্মকর্তা আরো জানান, বিজিবির কাছে ছবি পাঠিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ জানিয়েছে নিহত ব্যক্তি অবৈধভাবে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বিএসএফ সদস্যদের চ্যালেঞ্জ করে। ওই সময় বিএসএফ গুলি ছুঁড়লে সে নিহত হয়। 

এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফ মালুয়াপাড়া বরাবর প্রতিবাদ পত্র ও পতাকা বৈঠকের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ওমিদুলের মরদেহ ফেরত পাওয়া যাবে বলে তিনি জানান। 

নিহত ওমিদুলের বাবার বরাত দিয়ে মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান বলেন, নিহত ওমিদুল রাজমিস্ত্রীর সহযোগী হয়ে কাজ করতেন। তার বাবা বলেছেন, কাদের প্ররোচনায় পড়ে সে অভৈধভাবে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছিলো তা তার জানা নেই।

এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত পতাকা বৈঠকের বিষয়ে বিএসএফ এর পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পায়নি বিজিবি। তবে কর্মকর্তারা আশা করছেন, যে কোন সময় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ওমিদুলের মরদেহ ফেরত দিতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন