নারী নির্যাতন ও ধর্ষণে জড়িতদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। নারী নির্যাতনবিরোধী সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেয় তারা।
একই সঙ্গে প্রত্যেকে প্রত্যেক জায়গা থেকে সচেতন হয়ে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। গতকাল সারা দেশে বিট পুলিশিংয়ের জনসচেতনতামূলক সমাবেশ থেকে এ কথা বলা হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, পুলিশের প্রতি সমাজের মানুষের আস্থার জায়গা তৈরি ও অপরাধীদের কোনোভাবেই ছাড় না দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করতেই এ সমাবেশ। নারী ধর্ষণ ও নির্যাতনবিরোধী সমাবেশে পুলিশসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি, নারী ও শিশু অধিকার কর্মী, স্থানীয় নারী ও স্কুল-কলেজের ছাত্রীরা উপ?স্থিত ছি?লেন। এদিন সকাল ১০টায় ৬ হাজার ৯১২টি বিটে একযোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তেও অনুষ্ঠিত হয় এ প্রতিবাদ সমাবেশ। এতে অংশ নেন পুলিশ সদস্য ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রত্যেকের অবস্থান ছিল সুস্পষ্ট। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান বাস্তবায়ন করা হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে ‘নারী ধর্ষণ ও নির্যাতন বিরোধী বিট পুলিশিং সমাবেশ’
ব্যানারে আয়োজিত সমাবেশে সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গত কয়েক দিন ধরে ধর্ষণ ফ্রন্টলাইনে চলে আসছে। ধর্ষণের বিষয়ে সারা দেশের প্রান্তিক স্তরের মানুষ যাতে সচেতন হতে পারে সেজন্য এ ধরনের সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। যাতে কোনো পরিবারের কোনো বাবা-মায়ের ছেলে ধর্ষণের আসামি না হয়। আর কোনো পুরুষ যদি ধর্ষকের উপাধি পেয়ে যায়, তাহলে তার মৃত্যুদণ্ড হবে, এটা যাতে তারা বুঝতে পারে। এখন ধর্ষণ বেড়ে গেছে। সেই সঙ্গে আসামিরাও ধরা পড়ছে। ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করা হলো। ফলে কিছুটা হলেও এর ভয়াবহতা কমবে।
ডিএমপির ৫০টি থানার ৩০২টি বিট পুলিশিং এলাকায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নারী ধর্ষণ ও নির্যাতনবিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজিত এ সমা?বেশে নারী ধর্ষণ ও নির্যাতনবিরোধী পোস্টার, লিফলেট ও প্লাকার্ড প্রদর্শনের মাধ্যমে জনসাধারণকে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয় এবং এ ধরনের ঘৃণ্য অপরাধের বিরুদ্ধে সচেতন হওয়ার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়।
ডিএমপির পুলিশ সদস্যরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনায় অপরাধীকে আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে পেশাদারিত্বের সঙ্গে নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করছেন বলেও জানানো হয়েছে।