ফেনীতে ধর্ষণবিরোধী লংমার্চে হামলায় আহত ২০

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, ফেনী

ধর্ষণ বিচারহীনতার বিরুদ্ধে নোয়াখালী অভিমুখী লংমার্চে ফেনীতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার জন্য বাম ফ্রন্ট থেকে ছাত্রলীগ-যুবলীগকে দায়ী করা হলেও সংবাদ সম্মেলন ডেকে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়েছে। হামলায় ছাত্র ইউনিয়নসহ বাম ছাত্রজোটের অন্তত ২০ নেতাকর্মীসহ ফেনীর তিন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।

এদিকে খবর পেয়ে বিকালেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ডিআইজি আনোয়ার হোসেন।

তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ফেনী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্রশীল জানান, হামলার সঙ্গে ছাত্রলীগ যুবলীগের কোনো নেতাকর্মী জড়িত ছিলেন না। লংমার্চে অংশ নেয়া লোকজনের হাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থানীয় সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর ছবিসংবলিত বেশকিছু ফেস্টুনে আপত্তিকর কুরুচিপূর্ণ লেখা থাকায় স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হন।

ছাত্র ইউনিয়ন জোটের নেতাকর্মীরা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফেনীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ শেষে লংমার্চ করে পুরনো ট্রাংক রোড হয়ে নোয়াখালী অভিমুখে যাত্রাকালে শহরের নির্মাণ সুপার মার্কেটের সামনে পৌঁছলে হামলার ঘটনা ঘটে। সময় ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীরা এলোপাতাড়ি লাঠিপেটা শুরু করে। হামলায় ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অনিক রায়, ছাত্র ইউনিয়ন নেতা মেহেদী নোবেল, আসমা আক্তার, আসমানি আশা, শাহাদাত হোসেন, আনিকা, জাওয়ায়েদ, ইমা, রাপিদা, দিপা ফাহমিদাসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। এছাড়া তিনজন সাংবাদিক আহত হন।

বাম ফ্রন্টের সমন্বয়ক আব্দুলাহ আল কাফি রতন বলেন, সকালে ফেনীর সমাবেশ শেষ করে আমরা বেগমগঞ্জের উদ্দেশে গাড়িতে ওঠার সময় ছাত্রলীগে নেতারা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। ওই সময় পুলিশ কোনো ভূমিকা না রাখায় আমাদের অন্তত ২০ জন আহত হন। একই সময় তারা আমাদের লংমার্চের ছয়টি গাড়িও ভাংচুর করেছে।

বিকালে স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে ঘটনায় আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেন ফেনী জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এসএম সালাউদ্দিন ফিরোজ। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, লংমার্চ কর্মসূচি আমরাও সমর্থন করি। কিন্তু লংমার্চের নামে বঙ্গবন্ধু তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম হাজারীর ছবিসংবলিত ফেস্টুনে বিভিন্ন অশালীন আপত্তিকর মন্তব্য লেখায় জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্রলীগ বিক্ষোভ মিছিল করেছে। হামলায় ছাত্রলীগ জড়িত নয় বলেও দাবি করেন তিনি।

ফেনী মডেল থানার ওসি আলমগির হোসেন জানান, হামলার সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। পুলিশি প্রচেষ্টায় বড় ধরনের কোনো ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন