নিউজিল্যান্ডে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সরকার গঠন করছেন আর্ডার্ন

বণিক বার্তা ডেস্ক

দ্বিতীয়বারের মতো নিউজিল্যান্ডের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী দলের চেয়ে বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছে তার দল লেবার পার্টি। খবর বিবিসি।

প্রাথমিক ফলাফলে জেসিন্ডা আর্ডার্নের লেবার পার্টি ৪৯ শতাংশ ভোট পেয়েছে। যদিও এখনো এক-চতুর্থাংশ ভোট গণনা বাকি রয়েছে। এদিকে বিরোধী মধ্য-ডানপন্থী ন্যাশনাল পার্টি পেয়েছে ২৭ শতাংশ ভোট। এছাড়া গ্রিন পার্টি পেয়েছে মাত্র শতাংশ ভোট। ফলে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোকে নির্বাচনে পরাজয় মেনে নিতে হচ্ছে।

গত সেপ্টেম্বরে ভোট হওয়ার কথা থাকলেও করোনা মহামারীর কারণে তা এক মাস পিছিয়ে দেয়া হয়। নির্বাচনের আগেই বেশির ভাগ জনমত জরিপ ইঙ্গিত দিয়েছিল, দক্ষতার সঙ্গে নভেল করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সক্ষম হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্নই দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছেন।

গতকাল নিউজিল্যান্ডের স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় ভোট শুরু হয়। শেষ হয় সন্ধ্যা ৭টায়। এর আগে গত অক্টোবর আগাম ভোট গ্রহণ হয়। এতে ১০ লাখের বেশি মানুষ ভোট দিয়েছেন।

এদিকে, বর্তমান নির্বাচনী ব্যবস্থায় কোনো দলের পক্ষেই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন সম্ভব নয় বলে ধারণা করা হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে দেশটিতে মিশ্র সদস্য আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (এমএমপি) ব্যবস্থা চালুর পর এখন পর্যন্ত কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি।

তবে ধারণা ভুল প্রমাণ করেছে জেসিন্ডা আর্ডার্নের দল লেবার পার্টি। এমএমপি ব্যবস্থা চালুর পর এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আসন পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে দলটি। ফলে এবারই প্রথমবারের মতো একক দলের সরকার গঠন করতে পারবেন জেসিন্ডা আর্ডার্ন। আর্ডার্নের লেবার পার্টি পার্লামেন্টে ৬৪টি আসন পেতে পারে বলে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে, যা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য যথেষ্ট।

এদিকে, নির্বাচনে জয়ের পর উচ্ছ্বসিত জেসিন্ডা তার সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, প্রায় ৫০ বছর ধরে লেবার পার্টির প্রতি সমর্থন জানিয়ে আসছে নিউজিল্যান্ড। আপনাদের সমর্থনকে আমরা ব্যর্থ হতে দেব না। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আমরা এমন একটি দলে পরিণত হব, যা দেশের প্রতিটি জনগণের জন্য কাজ করবে।

নভেল করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সাফল্য, ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলার পর হতাহতদের পাশে থাকাসহ বিভিন্ন ঘটনায় নাগরিকদের মানসিকতা বুঝে ব্যবস্থা নেয়ার ফলে ভোটারদের সমর্থন আদায় করতে সক্ষম হয়েছেন জেসিন্ডা আর্ডার্ন।

নির্বাচনের আগে লেবার পার্টি সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আরো অর্থ প্রদান, জলবায়ুবান্ধব নীতি বাস্তবায়নের প্রতি জোর দিয়েছে। অন্যদিকে অবকাঠামোগত বিনিয়োগ বৃদ্ধি, ঋণ মওকুফ সাময়িক সময়ের জন্য কর হ্রাসের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ন্যাশনাল পার্টি।

লেবার পার্টির বিশাল জয়ের খবরে জেসিন্ডা আর্ডার্নকে স্বাগত জানিয়েছেন ন্যাশনাল পার্টির নেতা জুডিথ কলিন্স। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আবারো লেবার পার্টির শক্ত বিরোধী হিসেবে লড়বে তার দল। তিনি বলেন, চোখের পলকেই তিন বছর কেটে যাবে। পরবর্তী নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আমরা আবারো ফিরে আসব।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন