আগামী বছর বিশ্বব্যাপী রেকর্ড উত্তোলনের পূর্বাভাস

বণিক বার্তা ডেস্ক

নভেল করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) মহামারীর কারণে চলতি বছরে বিশ্বব্যাপী স্বর্ণ উত্তোলন কমেছে। কারণ মরণঘাতী ভাইরাসটির প্রসার ঠেকাতে অনেক খনিই সময় সাময়িকভাবে উত্তোলন বন্ধ রাখে। ফলে চলতি বছর স্বর্ণ উত্তোলন সাড়ে শতাংশের বেশি কমতে পারে। তবে উত্তোলনের বিপরীতে সেফ হ্যাভেন হিসেবে বৈশ্বিক চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় আগামী বছরে স্বর্ণের উত্তোলন রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে বলে এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে ধাতুবিষয়ক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান মেটাল ফোকাস। খবর রয়টার্স

স্বর্ণ, রৌপ্যের মতো মূল্যবান ধাতু নিয়ে বিশেষ গবেষণা করে মেটাল ফোকাস। যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি তাদের সাম্প্রতিক এক পূর্বাভাসে বলছে, চলতি বছরে বিশ্বের স্বর্ণখনিগুলো থেকে হাজার ৩৬৮ টন স্বর্ণ উত্তোলন হতে পারে। যেটি গত বছরের তুলনায় দশমিক শতাংশ কম এবং গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। তবে মূল্যবান ধাতুটির বাজার চাঙ্গা থাকার কারণে আগামী বছরে স্বর্ণের উত্তোলন রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। সময় ধাতুটির উত্তোলন দশমিক শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে হাজার ৬৬৪ টনে দাঁড়াতে পারে।

পরামর্শক প্রতিষ্ঠানটির মাইন সাপ্লাইয়ের প্রধান অ্যাডাম ওয়েব জানিয়েছেন, চলতি বছরে এরই মধ্যে বিশ্বব্যাপী স্বর্ণের চাহিদা ২৫ শতাংশ কমেছে। সময় বিশ্বব্যাপী মূল্যবান ধাতুটির চাহিদার পরিমাণ দাঁড়াতে পারে তিন হাজার টনে। তবে ২০২১ সালে চাহিদায় বড় উল্লম্ফন হতে পারে। বছরে চাহিদা ১৭ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। 

কভিড-১৯-এর কারণে অন্যান্য শিল্পের মতো স্বর্ণের উত্তোলনও কমে যায়। একই সঙ্গে কমে আসে অলংকার হিসেবে ব্যবহারের জন্য স্বর্ণের বিক্রিও। তবে যেহেতু যেকোনো অর্থনৈতিক সংকটের সময় নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে স্বর্ণের চাহিদা বেড়ে যায়। আর কারণেই বছর স্বর্ণের বাজার চাঙ্গা ছিল। চলতি বছরের শুরুতে আউন্সপ্রতি স্বর্ণের দাম হাজার ডলার ছাড়িয়ে যায়, যা সর্বোচ্চ রেকর্ড। মেটাল ফোকাস মনে করছে, বাণিজ্যযুদ্ধ করোনার সংক্রমণের কারণে আগামী বছরও যেহেতু স্বর্ণের চাহিদা ঊর্ধ্বমুখী থাকবে, সে কারণে সময় দাম গড়ে আউন্সপ্রতি হাজার ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে স্বর্ণের বাজার চাঙ্গা হওয়ার কারণে বছরে উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর আয়ের পরিমাণও বেড়েছে। মেটাল ফোকাসের তথ্য বলছে, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) খনিগুলোর আউন্সপ্রতি ব্যয়ের তুলনায় আয় বেড়েছে বহুগুণ। সময় আউন্সপ্রতি গড় আয় হয়েছে ৭৩৯ ডলার। যেখানে গত বছরের একই সময় আয় হয়েছিল ৩৫০ ডলার।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন