নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মিনারবাড়ী এলাকায় শামসুজ্জোহা এম.বি. ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এরশাদ উল্লাহকে স্থায়ী বরখাস্ত করা হয়েছে। অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের দায়ের তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
গত সোমবার (১২ অক্টোবর) ম্যানেজিং কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাকসুদ হোসেন।
তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষক এরশাদ উল্লাহর বিরুদ্ধে আর্থিক অব্যবস্থাপনা, অদক্ষতা, অর্থ আত্মসাৎ, জালিয়াতি, দুর্নীতি ও অসদাচরণের অভিযোগ ওঠে। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কর্তৃক গঠিত পৃথক দুটি তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় ১৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সেই সঙ্গে কেন স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেয়া হয়। এরশাদ উল্লাহ নোটিশের যে জবাব দিয়েছেন সেখানেও মিথ্যাচার করেছেন। তাছাড়া তিনি ছুটির জন্য আবেদন না করেই গত ১১ জুলাই থেকে বাড়িতে অবস্থান করছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানের জন্য কোনো প্রস্তুতি বা দিক নির্দেশনা দেননি, শোক দিবসের অনুষ্ঠানেও অনুপস্থিত ছিলেন। তাই সোমবার (১২ অক্টাবর) অনুষ্ঠিত স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সাধারণ সভায় তাকে সর্বসম্মতিক্রমে ও বিধি অনুযায়ী স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলার ইউএনও শুল্কা সরকার জানান, স্কুলের ম্যানিজিং কমিটির লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রধান শিক্ষক এরশাদ উল্লাহর অনিয়ম দুর্নীতির প্রমাণ পায়। এরপরই তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়।
তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে এরশাদ উল্লাহ বলেন, ম্যানেজিং কমিটি ষড়যন্ত্র করে তাকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতেই বরখাস্ত করেছে। ম্যানেজিং কমিটি নিয়ম ও বিধিবহির্ভূতভাবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান তিনি।