চাহিদায় পতন: নতুন ইউনিট স্থাপন স্থগিত করেছে এমআই সিমেন্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

কভিড-১৯ এর কারণে দেশজুড়ে সিমেন্টের চাহিদায় ধস নেমেছে। বর্তমানে সিমেন্ট খাতের অর্ধেকেরও বেশি সক্ষমতা অব্যবহৃত থাকছে। সিমেন্টের চাহিদা আগের মতো স্বাভাবিক পর্যায়ে যেতে দুই থেকে তিন বছর সময় লাগবে। এ অবস্থায় ষষ্ঠ ইউনিট স্থাপনের কাজ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিমেন্ট খাতের কোম্পানি এমআই সিমেন্ট ফ্যাক্টরি লিমিটেডের পর্ষদ।

আজ রোববার স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জানিয়েছে, কভিড-১৯-এর কারণে আন্তর্জাতিক কন্ট্রাক্টরের সঙ্গে কারিগরি ও বাণিজ্যিক আলোচনা স্থগিত হয়ে গেছে। পাশাপাশি প্রকল্পের অর্থায়নের বিষয়টিও ঝুলে গেছে। তাছাড়া কভিডের কারণে সিমেন্টের চাহিদাও অনেক কমে গেছে। বর্তমানে যে চাহিদা রয়েছে সেটি বিদ্যমান সক্ষমতা দিয়ে পূরণ করা সম্ভব। এ কারণে ষষ্ঠ ইউনিট স্থাপনের বিষয়টি আপাতত স্থগিত করে পরবর্তীতে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পর্ষদ।

গত বছরের জানুয়ারিতে ৬০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে মুন্সীগঞ্জের পশ্চিম মুক্তারপুরের বিদ্যমান কারখানা প্রাঙ্গণে ষষ্ঠ ইউনিট স্থাপন করার ঘোষণা দিয়েছিল এমআই সিমেন্ট। এ ইউনিটের দৈনিক উত্পাদন সক্ষমতা ৮ হাজার ৪০০ টন। আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে ইউনিটটিতে উত্পাদন শুরু হওয়ার কথা ছিল।

এদিকে আজকের পর্ষদ সভায় এমআই সিমেন্ট ফ্যাক্টরি লিমিটেডের মালিকানায় থাকা তিনটি মাদার ভেসেলকে কোম্পানিটির প্রত্যক্ষ ব্যবস্থাপনা থেকে আলাদা করে তিনটি স্বতন্ত্র সাবসিডিয়ারি কোম্পানির আওতায় আনার সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে। মাদার ভেসেলগুলোকে সাবসাডিয়ারি কোম্পানির অধীনে নিতে হলে বিভিন্ন বিদেশী কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে। কভিড-১৯-এর কারণে সব ধরনের আন্তর্জাতিক কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এ কারণে এ সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে পারেনি কোম্পানিটি।  

এর আগে গেল বছরের নভেম্বরে এমআই সিমেন্টের মালিকানা থেকে  ওশান ভয়েজার শিপিং লাইনস লিমিটেডকে ৫৬ কোটি ৮৫ লাখ, ওশান ভিক্টরি শিপিং লাইনস লিমিটেডকে ৩৮ কোটি ৪৬ লাখ এবং ওশান ভিশন শিপিং লাইনস লিমিটেডকে ৭০ কোটি ৬১ লাখ টাকায় সাবসিডিয়ারি কোম্পানির কাছে হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এমআই সিমেন্টের পর্ষদ। এর কারণ হিসেবে সে সময় কোম্পানিটি জানিয়েছিল, দেশের বাজারে সিমেন্ট উত্পাদন ও বিক্রি করাই হচ্ছে এমআই সিমেন্টের মূল ব্যবসা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন