গৌরীপুরে সরকারি চিকিৎসক ও প্যাথলজি সেন্টার মালিকের বিরুদ্ধে মামলা

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ

ভুল চিকিৎসার অভিযোগে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে সোমা প্যাথলজির মালিক আইয়ূব খান (৪০) ও নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুনের (৩৫) বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।

ময়মনসিংহের জেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪নং আমলি আদালতে গৌরীপুর উপজেলার সহনাটি ইউনিয়নের লাঠুরপায়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের স্ত্রী জহুরা খাতুন (৩৭) গতকাল বৃহস্পতিবার এ মামলা দায়ের করেন। 

বাদীর আইনজীবী মো. আবুল খায়ের সাংবাদিকদের এ বিষয়ে নিশ্চিত করে জানান, মামলাটি তদন্তের জন্য ময়মনসিংহের সিআইডিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। 

ভুক্তভোগী জহুরা খাতুন জানান, প্রায় চার মাস আগে গর্ভাবস্থায় তিনি শারীরিক অসুস্থতা অনুভব করলে আইয়ূব খানের পরামর্শে সোমা প্যাথলজিতে অস্থায়ী চিকিৎসক আব্দুল্লাহ মামুনের কাছে চিকিৎসা নিতে যান। এ সময় আল্ট্রাসনোগ্রাম করার পর রিপোর্ট দেখে তার গর্ভে কোনো সন্তান নেই বলে তাকে কিছু ওযুধ সেবনের ব্যবস্থাপত্র দেন ওই চিকিৎসক। সে অনুযায়ী ওষুধ খাওয়ার পর তার পেটে ব্যথা ও রক্তক্ষরণ হতে থাকে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকলে ঘটনার পাঁচদিন পর তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি ও প্রসূতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সবিতা ধরের কাছে চিকিৎসা নিতে যান। সেখানে আল্ট্রাসনোগ্রাম করার পর রিপোর্ট দেখে ডা. সবিতা ধর তাকে জানান, তিনি গর্ভবতী ছিলেন এবং তার ভ্রুণটি নষ্ট হয়ে গেছে। তার ব্যবস্থাপত্রে ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধ খেয়ে সুস্থ হয়ে ওঠেন জহুরা খাতুন। সুস্থ হয়ে সোমা প্যাথলজিতে গিয়ে এ নিয়ে কথা বললে তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও হুমকি দিয়ে তাকে বের করে দেন আইয়ূব খান ও চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন।

জহুরা খাতুনের অভিযোগ, এ ঘটনায় গৌরীপুর থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে মামলা নেয়নি পুলিশ। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে মামলা দায়ের করেন তিনি। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন দাবি করেন, তিনি কোনো ভুল চিকিৎসা করেননি। ওই নারীর গর্ভে কোনো ভ্রুণ ছিল না। হারনিয়ার কারণে তার পেটে ব্যথা ও রক্তরক্ষণ হয়েছিল। তিনি আরো বলেন, জহুরা খাতুনকে সেবনের জন্য ব্যবস্থাপত্রে তিনি যে ওষুধগুলো লিখে দিয়েছিলেন, এসব ওষুধ সেবনের ফলে গর্ভের ভ্রুণ নষ্ট হয় না।

সোমা প্যাথলজির স্বত্বাধিকারী আইয়ূব খান ওই নারীর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই নারীকে কোনো ভুল চিকিৎসা দেয়া হয়নি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন