বৈশ্বিক সংক্রমণ তালিকায় বাংলাদেশ বেশ কিছুদিন ধরে ১৫তম অবস্থানে আছে। শীর্ষ ১৫-এর এ তালিকায় থাকা দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশেই ১০ হাজারের কম মানুষের মৃত্যু হয়েছে। প্রতি ১০ লাখে মৃত্যুহারও সবচেয়ে কম বাংলাদেশে। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টারের প্রকাশিত তথ্যে এ চিত্র মিলেছে।
জনস হপকিনসের তথ্য মতে, দেশে সবশেষ দিনের নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২১ জনসহ মোট মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ২৭২ জন। শনাক্ত রোগীর সংখ্যায় তালিকার শীর্ষ ১৫-তে থাকলেও মৃত রোগীর তালিকায় বাংলাদেশ ২৯ নম্বরে। শনাক্ত রোগীর হিসাবে শীর্ষ ১৫-তে একমাত্র বাংলাদেশেই ১০ হাজারের নিচে মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এমনকি বাংলাদেশে মৃতের সংখ্যাটি এখন পাঁচ হাজারের ঘরে।
এ তালিকায় বাংলাদেশের কাছাকাছি আছে চিলি। চিলিতে মৃতের সংখ্যা ১২ হাজার ৭৪১ জন। এছাড়া শনাক্ত শীর্ষ তালিকার বিবেচনায় বাংলাদেশে প্রতি ১০ লাখে মৃত্যু হয়েছে মাত্র ৩২ জনের। এ হিসাবে তালিকার অন্য যে দেশ বাংলাদেশের কাছাকাছি আছে, সেটা প্রতিবেশী ভারত। দেশটিতে প্রতি ১০ লাখে মৃত্যু হয়েছে ৭১ জনের। এছাড়া তালিকার আর সব দেশে প্রতি ১০ লাখে ১০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কোনো কোনো দেশের ক্ষেত্রে এ সংখ্যা হাজারেরও কাছাকাছি।
এদিকে গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নতুন করে দেশে আরো আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫০৮ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩ লাখ ৬৪ হাজার ৯৮৭ জনে। এতে দেশের ১০৮টি পরীক্ষাগারের তথ্য তুলে ধরে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১১ হাজার ৪১০টি নমুনা সংগৃহীত হয়েছে। আগের কিছু নমুনাসহ পরীক্ষা করা হয়েছে ১১ হাজার ৪২০টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১৯ লাখ ৫৯ হাজার ৭৫টি। একদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরো ১ হাজার ৫৯১ জন রোগী। এ নিয়ে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৭৭ হাজার ৭৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২০ শতাংশ, এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৫ দশমিক ৯১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।