রাইড শেয়ার কোম্পানি লিফট ও উবার চালকদের জন্য ন্যূনতম বেতন নির্ধারণের ঘোষণা দিল যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল নগর কর্তৃপক্ষ। এ ধরনের পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে দুটি কোম্পানি এবং এতে হাজারো চালকের চাকরি হারানোর শঙ্কা তৈরি হয়েছে। খবর এএফপি।
যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় নগর হিসেবে রাইড শেয়ার চালকদের ন্যূনতম বেতন নির্ধারণ করে দিল সিয়াটল। এর আগে ২০১৯ সালে নিউইয়র্কে রাইডশেয়ার চালকদের ন্যূনতম বেতন নির্ধারণ করে দেয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সিয়াটল মেয়র জেনি ডুরকান বলেছেন, ‘মহামারীর কারণে শ্রমিকদের সুরক্ষায় আমাদের যে কাঠামো রয়েছে, তাতে ত্রুটিগুলো বেরিয়ে এসেছে। ফলে সুরক্ষা জালবিহীন অবস্থায় সাময়িক চুক্তিভিত্তিক কর্মীসহ সম্মুখসারির কর্মজীবী মানুষের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে।’
এ নারী জানান, নতুনভাবে নির্ধারণ করে দেয়ায় চালকরা ন্যায্য বেতন পাবেন; যা দিয়ে তারা নিজেদের ও পরিবারকে সুরক্ষা দিতে পারবেন। জানুয়ারি থেকে সিয়াটলের রাইড শেয়ার চালকদের প্রতি ঘণ্টায় ন্যূনতম ১৬ দশমিক ৩৯ ডলার করে আয় করতে হবে।
গত মাসে সিয়াটল নগর সরকারকে লেখা এক চিঠিতে উবার বলেছে, একই ধরনের পলিসি গ্রহণের ফলে নিউইয়র্কে চালকদের কাজের সুযোগ কমে যায় এবং গ্রাহকদের ব্যয় বেড়ে যায়। কোম্পানিটির ভাষ্যমতে, ‘নিউইয়র্কে হাজারো চালক চাকরি হারান, কেননা তখন বিধিনিষেধের কারণে অনেকেরই আমাদের অ্যাপটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে এক ধরনের সংকট সৃষ্টি হয়।’
তারা আরো জানায়, সেই থেকে নিউইয়র্কে নতুন কোনো চালককে নিবন্ধন করা হয়নি।
উবার জানায়, প্রথম বছরে মূল্য ৩০ শতাংশ বেড়ে যায় এবং এ কারণে মানুষজন রাস্তায় বিক্ষোভও প্রদর্শন করে।
আরেক রাইড শেয়ার কোম্পানি লিফটও এ ঘোষণায় হতাশা প্রকাশ করেছে। তারা জানায়, সিয়াটলের এ সিদ্ধান্ত ‘অত্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ এবং নিশ্চিতভাবেই হাজারো মানুষের কাজের সুযোগ ধ্বংস করবে। কেবল লিফটেই চার হাজার চালকের চাকরি যাবে এবং এতে রাইড শেয়ার কোম্পানিই বিদায় নিতে পারে।’
উবার জানিয়েছে, এ মুহূর্তে সিয়াটলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যাওয়ার পরিকল্পনা নেই তাদের।