আইসিটি, জ্বালানি ও ওষুধ শিল্পে বড় বিনিয়োগে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি, জ্বালানি ওষুধ শিল্পে বড় বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে গতকাল অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ববিষয়ক এক সভায় আগ্রহের কথা জানান যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জ্বালানি পরিবেশবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি কিথ ক্রাচ। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত সভায় দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো এগিয়ে নেয়ার বিষয়ে সম্মত হন প্রতিনিধিরা।

সভায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান। ভার্চুয়াল সভায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতসহ দুই দেশের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প বিনিয়োগ উপদেষ্টা সভায় জানান, প্রতিবেশী আঞ্চলিক দেশ এবং বিশ্বপরিমণ্ডলে অর্থনৈতিক কূটনীতি বাড়াতে বাংলাদেশ তত্পর। বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ সব দেশকেই স্বাগত জানায়। সময় বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান বিনিয়োগগুলোর উল্লেখ করেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বাজারে বাড়তি সুযোগ তৈরি করে নিতে সক্ষম হবেএমন প্রত্যাশা জানিয়ে কিথ ক্রাচ বলেন, বাংলাদেশে বড় বিনিয়োগ করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো। তথ্যপ্রযুক্তি, জ্বালানি ওষুধ শিল্পেই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দেন তিনি।

সভায় কভিড-১৯ প্রেক্ষাপটে জনস্বাস্থ্য সহযোগিতা শক্তিশালী করার বিষয়ে আলোচনা হয়। কৃষি, নির্ভরযোগ্য ডিজিটাল নীতি, আইসিটি, ব্লু-ইকোনমি, জ্বালানি, রেল-সড়কসহ অন্যান্য কানেক্টিভিটি বা সংযোগ বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা করেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা। একই সঙ্গে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরো এগিয়ে নেয়ার বিষয়েও আলোচনা হয়।

বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সাড়ে বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। দুই দেশের বাণিজ্য বিনিয়োগ-সংক্রান্ত বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার জন্য আছে ট্রেড অ্যান্ড বাণিজ্য কো-অপারেশন ফোরাম এগ্রিমেন্ট (টিকফা) শীর্ষক ফোরাম। তবে অর্থনৈতিক সম্পর্কে বড় পরিসরে আরো ভিন্ন মাত্রায় গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে নিতে গতকালের পরামর্শ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

দূতাবাস সূত্র আরো জানায়, আলোচনাটি টিকফার বদলে নয়, এর ভিন্ন গুরুত্ব রয়েছে। টিকফা কিছু নির্দিষ্ট বাণিজ্য বিনিয়োগ-সংক্রান্ত নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে। সপ্তাহের অর্থনৈতিক আলোচনাটি কিছু কার্যকর বাস্তবতার ওপর গুরুত্ব দেবে, যা আরো বড় পরিসরে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব এগিয়ে নেবে।

সভার আয়োজন সম্পর্কে চলতি সপ্তাহে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, শীর্ষ পর্যায়ের আলোচনা আরো বৃদ্ধির অংশ হিসেবে দুই দেশের সরকার অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিবিড় করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে পরামর্শ সভাটির আয়োজন করা হয়। কভিড-১৯ প্রেক্ষাপটে জনস্বাস্থ্য সহযোগিতা শক্তিশালী করাসহ কৃষি, নির্ভরযোগ্য ডিজিটাল নীতি, আইসিটি, ব্লু ইকোনমি, জ্বালানি, রেল সড়কসহ অন্যান্য কানেক্টিভিটি বা সংযোগ বৃদ্ধিতে বিনিয়োগের বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন