বাবরি মসজিদ মামলা

ভারতীয় আদালতে বিজেপির সব নেতা খালাস

বণিক বার্তা ডেস্ক

ভারতে ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ মামলার রায়ে ক্ষমতাসীন বিজেপির অভিযুক্ত সব নেতাকেই খালাস দিয়েছেন দেশটির বিশেষায়িত এক আদালত। এর মধ্য দিয়ে ১৯৯২ সালের ডিসেম্বর সংঘটিত বিতর্কিত ওই ঘটনা নিয়ে দায়েরকৃত মামলাটি নিষ্পত্তি হলো প্রায় ২৮ বছর পর। খবর বিবিসি।

উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সূত্রপাত ঘটিয়েছিল বাবরি মসজিদ ভাঙার ঘটনাটি। ওই ঘটনার জন্য বিজেপির কয়েক নেতাকে অভিযুক্ত করে মামলা করা হয়। মামলার আসামিদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন দেশটির সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী এলকে আদভানি, বিজেপি নেতা এমএম জোশি উমা ভারতি। ষোড়শ শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত স্থাপনাটি ধ্বংসের জন্য উগ্র কট্টর মৌলবাদীদের উসকানি দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তারা তিনজনই। ঘটনার জের ধরে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় প্রায় দুই হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

এমন এক সময় মামলার রায় দেয়া হলো, যখন মামলার ৪৯ আসামির ১৭ জনই বেঁচে নেই। রায়ে জীবিত ৩২ আসামির সবাইকেই খালাস দিয়েছেন আদালত। আসামিদের সবাই ক্ষমতাসীন বিজেপির রাজনীতিবিদ। বিষয়ে আদালতের বক্তব্য হলো, পূর্বপরিকল্পিতভাবে ঘটনা সংঘটিত হওয়ার বিষয়ে শক্ত কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

আদালতের রায়কে মেনে নেয়নি দি অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল বোর্ড। সংস্থাটির আইনজীবী জাফরয়াব জিলানী বলেন, ঘটনার সময় সেখানে পুলিশ সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা প্রবীণ সাংবাদিকরা প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। তাদের সাক্ষ্য কি বিবেচনায় আনা হবে না? সেক্ষেত্রে আদালতের বলে দেয়া উচিত ছিল, তারা সবাই মিথ্যা বলেছেন।

রায়ের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে বক্তব্য দিয়েছেন ভারতের বিরোধীদলীয় রাজনৈতিক নেতা সরকারের সমালোচকরা। আইনের গুরুতর লঙ্ঘন আখ্যা দিয়ে রায়কে ভারতীয় সাংবিধানিক চেতনার পরিপন্থী হিসেবে অভিহিত করেছেন কংগ্রেস নেতা রণদিভে সূর্যওয়ালা। অন্যদিকে রায় ঘোষণার দিনকে ভারতীয় বিচার ব্যবস্থার জন্য একটি কালো দিন হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন এমপি আসাদুদ্দিন ওয়াইসি।

বাবরি মসজিদ ভাঙার ঘটনার পর ভারতের উচ্চ আদালতের সাবেক বিচারক এমএস লিবারহানের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছিল। কমিশন ১৭ বছর পর একটি প্রতিবেদনও জমা দিয়েছিল।

ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতাদের অভিযোগ, বাবরি মসজিদ ভাঙার ঘটনাটি ঘটেছিল তত্কালীন বিরোধীদলীয় নেতা এলকে আদভানির পরিকল্পনা ইন্ধনে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন